কলকাতা, 28 মে: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য সিবিআই এবং ইডিকে অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের টানা সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন ।
এবার সেই হাইকোর্টেই 10 বছর আগের একটি মামলায় দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য অনুমতি না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাজ্যের তুমুল সমালোচনা করলেন বিচারপতি । তবে ডিভিশন বেঞ্চের মতো লাগাতার রাজ্যকে ওই কনসেন্ট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এদিন হাঁটেনি হাইকোর্ট । বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় আগামী তিনদিনের মধ্যে ওই অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে । তারপরে বর্তমানে ডোমকলে কর্মরত এক ইন্সপেক্টর এবং বর্ধমানে কর্মরত এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করতে হবে রাজ্যকে ।
'আরএসএসে ছিলাম, থাকব', বিদায়ী ভাষণে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি
2012 সালে হুগলির চুঁচুড়ায় থানার লকআপে এক হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তকে মারধরের অভিযোগে ওই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলাতেই এই নির্দেশ আদালতের ।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচার পর্ব শুরু করার ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব অনুমতি না দিয়ে টালবাহানা করায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিবকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেন । মুখ্যসচিব রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হতে পারছেন বলে সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে ডিভিশন বেঞ্চ । যদিও সেই বিষয়টির সমাধান এখনও হয়নি । মুখ্যসচিব বারবার লোকসভা নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় সময় দিতে পারছেন বলে জানান আদালতকে । সেই বিষয়টি এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ।