পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Rabindra Bharati University: তিন সপ্তাহের মধ্যে রবীন্দ্রভারতী থেকে দখলদারদের হঠাতে হবে, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

By

Published : Nov 21, 2022, 1:56 PM IST

Updated : Nov 21, 2022, 2:29 PM IST

Calcutta High Court directs to demolish Illegal Construction in Rabindra Bharati University within three weeks

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Rabindra Bharati University) জোড়াসাঁকো ক্য়াম্পাসে বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) সংক্রান্ত মামলায় কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ আদালতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে দখলদারি হঠিয়ে দিতে হবে ৷ ভাঙতে হবে বেআইনি নির্মাণ ৷

কলকাতা, 21 নভেম্বর:রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Rabindra Bharati University) জোড়াসাঁকো ক্য়াম্পাসে কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) বরদাস্ত করা হবে না ৷ ইতিমধ্যেই সেখানে যে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে, তা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্য়েই ভেঙে ফেলতে হবে ৷ হঠিয়ে দিতে হবে দখলদারদের ৷ সোমবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ আদালতের এই নির্দেশ পালনের জন্য কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation), সংশ্লিষ্ট হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি এবং কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাহায্য নিতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষককে ৷ আগামী 19 ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি করা হবে ৷

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই আবারও খবরে উঠে এসেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সৌজন্যে, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ৷ আর এর জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া জোড়াসাঁকো ক্য়াম্পাসে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে ৷ হেরিটেজ আইনের তোয়াক্কা না করেই সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে ৷ ওই কার্যালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে 'শিক্ষাবন্ধু সমিতি' !

আরও পড়ুন:কাজ করার অসুবিধা নিয়ে কোনও উপাচার্য অভিযোগ জানাননি, রবীন্দ্রভারতী প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী

এরই বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু হয়েছে ৷ সোমবার সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ৷ মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী দাবি করেন, যেভাবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে, তা একেবারেই বেআইনি ৷ যাঁরা এই কাজ করেছেন এবং ওই নির্মাণ দখল করে রেখেছেন, তাঁদের আদৌ এসব করার অধিকার রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন শ্রীজীব ৷

এর প্রেক্ষিতে আদালত তৃণমূলের তরফের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও বৈধ নথি রয়েছে কিনা ৷ জবাবে আইনজীবী জানান, আগে ওই ঘরে সিপিএম-এর কার্যলয় ছিল ৷ এখন সেখানেই 'সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতি'র কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্মাণ একেবারেই বেআইনি এবং যাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁরা সকলেই দখলদার ! বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এই নির্মাণ ভেঙে দিতে চায় এবং দখলদারদের হঠাতে চায় ৷ কিন্তু, এই উচ্ছেদ অভিযান হবে কীভাবে ? এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আদালতে হলফনামাও জমা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷

এরপরই কঠোর পদক্ষেপ করে আদালত ৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবন নির্মাণ আইন অনুসারে ওই নির্মাণ বেআইনি হলে, তা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই ভেঙে ফেলতে হবে ৷ হঠিয়ে দিতে হবে দখলদারদেরও ৷ আর এই কাজে প্রশাসনই তাদের সাহায্য করবে ৷ কলকাতা পৌরনিগম, সংশ্লিষ্ট হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি এবং কলকাতা পুলিশের সাহায্য নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ পাশাপাশি, এই ঘটনার জেরে যদি ইতিমধ্য়ে হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের কোনও ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে তারও সংস্কার করতে হবে ৷

Last Updated :Nov 21, 2022, 2:29 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details