পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Child Fever : শিশুদের জ্বর সংক্রান্ত তথ্য লুকোনোর অভিযোগ ওএসডি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে

By

Published : Sep 19, 2021, 2:59 PM IST

শিশুদের জ্বর সংক্রান্ত তথ্য লুকোনোর অভিযোগ ওএসডি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে

উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডির বিরুদ্ধে তথ্য লুকোনোর অভিযোগ উঠল ৷ জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক জয়ন্তকুমার রায় এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদক রীনা সরকার ৷

জলপাইগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর : জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের তথ্য লুকোচ্ছেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (OSD) সুশান্ত রায় । করোনার মতো অজানা জ্বরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও । এমনটাই অভিযোগ করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক তথা জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ৷ এই অভিযোগ শুধু সাংসদেরই নয়, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদকও সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন ।

জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় বলেন, "গত 1 সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় লাগাতার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে । প্রতিদিন সদর হাসপাতালের শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে ৷ 15 দিন কেটে গেলেও হুঁশ ফিরছে না স্বাস্থ্য দফতরের । 16 সেপ্টেম্বর মনিটরিং টিম করা হল । তাহলে দুই সপ্তাহ ধরে কী স্বাস্থ্য দফতর ঘুমোচ্ছিল ?" তিনি আরও বলেন, "যদি কিছু না হয়ে থাকে তাহলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের টিম দু'বার জলপাইগুড়ি পরিদর্শনে এল কেন । কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে 5 সদস্যের টিম জলপাইগুড়িতে এল কেন ? প্রথমে সবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হল, কিন্তু আরটিপিসিআর টেস্ট করা হল না ।"

চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে রাজ্যে সর্বপ্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশুরা । প্রথম চারদিনে মোট 121টি শিশুকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে । এখনও শতাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ যদিও সরকারিভাবে এই মৃত্যুর খবর শিকার করেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা । তাঁদের দাবি, যে শিশুরা মারা গিয়েছে তারা জ্বর ছাড়াও অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত ছিল ৷ জয়ন্ত রায় এই এই বিষয়েও অভিযোগ করে বলেন, "জেলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল । করোনার মতো এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য লুকনো হচ্ছে ।"

সিপিএমের মহিলা সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক রীনা সরকারের অভিযোগ, "আমাদের সদস্যরা হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের দেখতে গেলে তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি ৷ বলা হয়, তাঁদের দ্বারা শিশুদের সংক্রমণ ছড়াতে পারে ৷ এই কারণে তাঁদের শিশু বিভাগে প্রবেশ করতে দেননি ওএসডি ৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ, তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপকুমার বর্মা, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন । তবে কি শাসকদলের বলেই তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ?" জলপাইগুড়ি পুরসভার কো-অর্ডিনেটর দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন ওএসডি সুশান্ত রায় ।

উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে শিশুদের জ্বর সংক্রান্ত তথ্য লুকোনোর অভিযোগ উঠেছে

এদিকে রীনা সরকারের আরও অভিযোগ, "ওএসডি সুশান্ত রায় আমাদের জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম ভুল তথ্য পরিবেশন করছে । মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় সংবাদমাধ্যম যদি ভুল তথ্য পরিবেশন করেন তাহলে কেন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ? সংবাদমাধ্যম কীভাবে তথ্য পাচ্ছে, তা নিয়ে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কাছেই উলটে প্রশ্ন তোলেন ওএসডি ৷"

এদিকে তথ্য লুকোনোর অভিযোগ নিয়ে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি সুশান্ত রায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তিনি কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দিতেও রাজি হননি ৷

আরও পড়ুন : Jalpaiguri Children in Fever : করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, জলপাইগুড়িতে জ্বরে অসুস্থ বাচ্চাদের পর্যবেক্ষণে মনিটরিং দল গঠন

ABOUT THE AUTHOR

...view details