বংশীহারী, 27 নভেম্বর : গ্রামের অনাথ শিশু বা যাদের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাদের পড়াশোনা, থাকা-খাওয়ার সমস্ত খরচ নিজে দিতে শুরু করেছিলেন সুকুমার রায়চৌধুরি ৷ 44 বছর আগে বুনিয়াদপুর পৌরসভার বড়াইল এলাকায় শুরু করেছিলেন একটি অনাথ আশ্রম ৷ তবে বর্তমানে বয়স হয়ে যাওয়ায় একার পক্ষে আর আশ্রম চালাতে পারছেন না তিনি ৷ কোনও সরকারি সাহায্যও পাননি কখনও ৷ এখন আশ্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সুকুমারবাবুকে ৷
মেলেনি সরকারি সাহায্য, অনাহারে দিন কাটছে অনাথ আশ্রমের শিশুদের
44 বছর আগে বুনিয়াদপুর পৌরসভার বড়াইল এলাকায় শুরু করেছিলেন একটি অনাথ আশ্রম ৷ তবে বর্তমানে বয়স হয়ে যাওয়ায় একার পক্ষে আর আশ্রম চালাতে পারছেন না আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার রায়চৌধুরি ৷
আগে 44 জন এই আশ্রমে থাকলেও বর্তমানে অভাব অনটনের কারণে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে 22টিতে ৷ প্রায় দিনই খাবারের জন্য এদিক-ওদিক ছুটতে হয় সুকুমার রায়চৌধুরিকে ৷ 2011 সালে বংশীহারী ব্লকের তৎকালীন BDO বনমালী রায় সাহায্যের আশ্বাস দিলেও এখনও পাওয়া যায়নি কোনও সরকারি সাহায্য ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে আশ্রমে থাকা শিশুদের ৷
সুকুমারবাবু বলেন, "44 বছর আগে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করি সেই সময় আশ্রমে 44 জন আবাসিক ছিল ৷ কিন্তু ঘরের অভাবে আমি অনেককে ফিরিয়ে দিই ৷ বর্তমানে আমার কাছে 22 জন আবাসিক রয়েছে ৷ এখন আমার একার পক্ষে আর এই আশ্রম চালানো সম্ভব নয় ৷ কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্য করলে সুবিধা হয় ৷"
বংশীহারী :-26 নভেম্বর :-বুনিয়াদপুর পৌরসভার অন্তর্গত বড়াইল এলাকায় রয়েছে অনাথ আশ্রম । প্রায় 44 বছর আগে বুনিয়াদপুর এলাকায় বড়াইল উপজাতি কল্যাণ সংঘ নামে একটি অনাথ আশ্রম শুরু করেছিল সুকুমার রায় চৌধুরী । এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় আশ্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আশ্রম কর্তৃপক্ষকে ।
বংশিহারি :-26 নভেম্বর :- বড়াইল উপজাতি কল্যাণ সংঘ নামে অনাথ আশ্রম এখনো পর্যন্ত তারা কোন রকম সরকারি সাহায্য না পেয়ে প্রায় দিনই খাবারের জন্য এদিক ওদিক ছুটতে হয় আশ্রম এর প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার রায় চৌধুরী কে । প্রায় 44 বছর আগে ভাঙ্গা মাটির ঘরে এ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিল । 2011 সালে বংশিহারি ব্লকের সেই সময়কার বিডিও বনমালী রায় সেই সময় সাহায্যের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে আশ্রমে থাকা ছোট ছোট শিশুদের । এই আশ্রম এ প্রথম প্রথম প্রচুর সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও ঘরের অভাবে তা কমতে শুরু করেছে । বর্তমানে এখন ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 22 জন । বুনিয়াদপুর এলাকার বিভিন্ন লোকের দরজায় দরজায় ঘুরে আশ্রম এর কর্ণধার কোনমতে আশ্রম চালায় বলে জানা গেছে ।
এই বিষয়ে রিনা টুডু নামে এক ছাত্রী বলেন আমি একমাস হলো এই আশ্রম এসেছি । পড়াশোনা চালাতে অসুবিধা হওয়ার জন্য আমি বাড়ি থেকে এই আশ্রমে চলে আসি । এই আশ্রম এ কাজ কর্ম করে পড়াশোনা চালায় খুব কষ্ট করে । আমি বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই এবং এই আশ্রম চালাতে অসুবিধা হওয়ার জন্য কেউ যদি আমাদেরকে সাহায্য করে তাহলে ভালো হয় ।
আসামের কর্ণধার সুকুমার রায় চৌধুরী জানান 44 বছর আগে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করি সেই সময় আসামে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা 44 জন ছিল কিন্তু ঘরের অভাবে আমি অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের কে ফিরিয়ে দিই বর্তমানে আমার কাছে 22 জন ছাত্র-ছাত্রী আছে তারমধ্যে 12 জন মেয়ে এবং 10 জন ছেলে বসবাস করে । এই আশ্রম চালাতে কোন সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্য করে তাহলে আমার আশ্রম চালাতে সুবিধা হবে ।
Body:সরকারি সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষা অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে অনাথ আশ্রমের শিশুদের ।।
Conclusion:সরকারি সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষা অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে অনাথ আশ্রমের শিশুদের ।।