কলকাতা, 26 মার্চ : গরুপাচার-কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে টানাপোড়েনে জড়িয়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum TMC President Anubrata Mondal) ৷ একাধিকবার তলব করেও তাঁর দেখা পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো (Central Bureau of Investigation) ৷ এই পরিস্থিতিতে বগটুই-কাণ্ড কি তাঁকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছে (Will Anubrata Face Problems in Rampurhat Massacre Case) ? প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ কারণ, বীরভূমের ওই গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও আটজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় শুরু হয়েছে সিবিআই (CBI) তদন্ত ৷
প্রসঙ্গত, বগটুইয়ের ঘটনায় বারবার সামনে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ৷ যে বাড়িগুলি পুড়েছে, সেই বাড়ির বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারাও নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করছেন ৷ তাঁদের অভিযোগের তিরও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের দিকে ছিল ৷ সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগেই আনারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও মুখে অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি ৷ তাহলে সিবিআই কীভাবে এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে চাপে ফেলতে পারে, উঠছে সেই প্রশ্নও ৷ একটি সূত্রের দাবি, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক নেতা অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল আসলে বিপাকে পড়েছেন এই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করে ৷ মঙ্গলবার সকালে যখন এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, তখন তিনি দাবি করেছিলেন যে টিভি ফেটে ওই বাড়িতে আগুন লাগে ৷ আর তার জেরেই পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷