কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে পেটিএম প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল লালবাজার । পুলিশ সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে নয়, কোনও বিদেশি গ্যাংও নয়, পড়শি রাজ্যে বসেই চালানো হচ্ছে Paytm প্রতারণাচক্র । এর পিছনে জামতারা গ্যাং রয়েছে বলে আগেই খবর করেছিল ETV ভারত । মিলে গেল সেই খবর । অভিযুক্তকে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । সে জামতারা গ্যাংয়ের সদস্য।
15 জানুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, পেটিএম-এর KYC করার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করা হয়েছে 6.5 লাখ টাকা । তাঁকে বলা হয়, তাঁর পেটিএম অ্যাকাউন্টের KYC করাতে হবে । তা না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । মেসেজে একটি ফোন নম্বর দেওয়া ছিল । সেই নম্বরে ফোন করেন সমীরবাবু। আর তাতেই সর্বনাশ হয়ে যায় । 6.5 লাখ টাকা খোয়ান তিনি । বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আন্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখা ।
জানা যায়, প্রতারকরা KYC সংক্রান্ত মেসেজ করছে । কখনও বলা হচ্ছে KYC সাসপেন্ড করা হয়েছে। কখনও আবার বলা হচ্ছে নতুন করে করাতে হবে KYC। ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নম্বর। যাতে ফোন করলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ । মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে । দেখা যাচ্ছে, ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরই আবার একটি ফোন আসছে । যাতে বলা হচ্ছে, একটা 10 টাকার বিনিময় করতে । মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনও ট্রানজ়াকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর । তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে । সেই সূত্র ধরে 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিতকে । তার বাড়ি আদতে দেওঘরের সারওয়ান থানা এলাকায় । কলকাতার অন্য থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর সঙ্গে বিনোদের যোগসূত্র আছে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা । তাই তাকে জেরা করা প্রয়োজন । গোয়েন্দাদের ধারণা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে আরও অনেকে । বিনোদকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয়েছে।
Body:গত 15 জানুয়ারি শেক্সপিয়ার সরণি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, পেটিএম এ কেওয়াইসি করার নামে তার অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে 6.5 লাখ টাকা। তাঁকে বলা হয়, তার পেটিএম অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি করাতে হবে। না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। মেসেজে একটি ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল ফোন করেন সমির বাবু। আর তাতেই সর্বনাশ হয়ে যায়। লাখ 6.5 টাকার খোয়ান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আন্টি ব্যাংক ফ্রড শাখা।
Conclusion:জানা যায়, প্রতারকরা কেওয়াইসি সংক্রান্ত মেসেজ করছে। কখনো বলা হচ্ছে কেওয়াইসি সাসপেন্ড করা হয়েছে। কখনো আবার বলা হচ্ছে নতুন করে করাতে হবে KYC। ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নাম্বার। যাতে ফোন করলে একটি লিংক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই লিংকে ক্লিক করলেই সর্বনাশ। মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। দেখা যাচ্ছে, ওই লিংকে ক্লিক করার পরেই আবার একটি ফোন আসছে। যাতে বলা হচ্ছে, একটা টাকা 10 টাকার একটি বিনিময় করতে। মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনো ট্রানজাকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে গত 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিতকে। তার বাড়ি আদতে দেওঘরের সারওয়ান থানা এলাকায়। কলকাতার অন্যান্য থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর সঙ্গে বিনোদের যোগসূত্র আছে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা। তাই তাকে জেরা করা প্রয়োজন। গোয়েন্দাদের ধারণা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে আরো অনেকে। বিনোদকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা আনা হয়েছে।