পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

By

Published : Nov 15, 2019, 1:20 PM IST

স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহাদেব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির ৷ মৃতের পরিজনরা মুকুন্দপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ৷ তাঁরা চাইছেন, এই ঘটনায় রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করুক ৷

দেখুন

কলকাতা, 15 নভেম্বর : স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবনের পাশাপাশি পুলিশেও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে এই ঘটনায় তদন্ত চাইছেন পরিজনরা ।


মৃত ওই ব্যক্তির নাম মহাদেব মণ্ডল (49) । বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডাঙাপাড়ায় । এই রোগীর মৃত্যুর আগে স্বাস্থ্য ভবন এবং পুলিশের কাছে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছিল । ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, বহরমপুর লীলা হাসপাতাল থেকে 4 নভেম্বর ভোর তিনটার সময় কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত মহাদেব মণ্ডলকে । এই হাসপাতালের CCU-তে তাঁকে ভরতি নেওয়া হয় । হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়, চিকিৎসা ব্যয় সাপেক্ষ হলেও 11 নভেম্বর নাগাদ রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন । ধার করে এবং জমি বন্ধক রেখে এই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরিজনরা । 5 নভেম্বর রোগীকে CCU থেকে HDU-তে স্থানান্তরিত করা হয় । এর কারণ হিসাবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়েছিল বলে ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয় ।

অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়েছে, এরপর যে চিকিৎসকের অধীনে মহাদেব মণ্ডলের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল, সেই চিকিৎসক ছুটিতে চলে যান । তারপর থেকে চিকিৎসায় গাফিলতি শুরু হয় । রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকে । পরিজনদের বার বার অনুরোধের পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে নজর দেয়নি । রোগীকে এরপর ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয় । ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়, হাসপাতালের অবহেলার কারণে মহাদেব মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে । এই বিষয়টির অনুসন্ধান এবং মহাদেব মণ্ডলের সঠিক চিকিৎসার জন্য ওই অভিযোগপত্রে আর্থিক সহায়তার আবেদনও জানানো হয় ।

এই অভিযোগ জানানোর পর 13 নভেম্বর (বুধবার) মহাদেব মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর এক আত্মীয় শরদ মণ্ডল । তিনি বলেন, পেশায় চাষি মহাদেব মণ্ডলের বাড়িতে রয়েছে 9 মাসের শিশুপুত্র, স্ত্রী এবং অসুস্থ মা-বাবা । তিনি বলেন, "এই ঘটনায় আমরা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন এই বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করেন‌, তা হলে সঠিক ঘটনা জানা যাবে । দোষীদের শাস্তি চাইছি আমরা ।"
এই অভিযোগের বিষয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তবে, বক্তব্য মেলেনি ।

Intro:কলকাতা, ১৪ নভেম্বর: স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবনের পাশাপাশি পুলিশেও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে এই ঘটনায় তদন্ত চাইছেন পরিজনরা।
Body:মৃত ওই ব্যক্তির নাম মহাদেব মণ্ডল (৪৯)। তিনি মুর্শিদাবাদের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। এই রোগীর মৃত্যুর আগে স্বাস্থ্য ভবন এবং পুলিশের কাছে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, বহরমপুর লীলা হাসপাতাল থেকে গত ৪ নভেম্বর ভোর তিনটার সময় কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত মহাদেব মণ্ডলকে। এই হাসপাতালের CCU-তে তাঁর ভরতি নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়, চিকিৎসা ব্যয় সাপেক্ষ হলেও ১১ নভেম্বর নাগাদ রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন। ধার করে এবং জমি বন্ধক রেখে এই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন পরিজনরা। গত ৫ নভেম্বর এই রোগীকে CCU থেকে HDU-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এর কারণ হিসাবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়েছিল বলে ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে।

এই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, এর পরে যে চিকিৎসকের অধীনে মহাদেব মণ্ডলের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল, সেই চিকিৎসক ছুটিতে চলে যান। তার পর থেকে চিকিৎসায় গাফিলতি শুরু হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকেন বলে অভিযোগ। পরিজনদের বার বার অনুরোধের পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নজর দেন বলে ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে। রোগীকে এর পরে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের অবহেলার কারণে মহাদেব মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই বিষয়টির অনুসন্ধান এবং মহাদেব মণ্ডলের সঠিক চিকিৎসার জন্য ওই অভিযোগপত্রে আর্থিক সহায়তার আবেদনও জানানো হয়েছে।
Conclusion:এই অভিযোগ জানানোর পরে বুধবার, ১৩ নভেম্বর মহাদেব মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর এক আত্মীয় শরদ মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, পেশায় চাষি মহাদেব মণ্ডলের বাড়িতে রয়েছেন ৯ মাসের শিশুপুত্র, স্ত্রী এবং অসুস্থ মা-বাবা। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় আমরা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন এই বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করেন‌, তা হলে সঠিক ঘটনা জানা যাবে। দোষীদের শাস্তি চাইছি আমরা।" এই অভিযোগের বিষয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, বক্তব্য মেলেনি।
_______


ছবি:
wb_kol_03a_scrub_typhus_negligence_pic_7203421
থেকে
wb_kol_03g_scrub_typhus_negligence_pic_7203421

ABOUT THE AUTHOR

...view details