কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : আদালতে জয়ের দিনও চিন্তায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৷ ডিএ (DA) নিয়ে বাংলার সরকার (Bengal Government) আদালতের নির্দেশ মানবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতারা । তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ফ্যাসিস্ট সরকার ডিএ না দেওয়ার নানা রকম অছিলা করছে । আদালত ফের একবার থাপ্পড় মারল ।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভন্টমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘2016 সালে কনফেডারেশনের তরফে আমরা মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) আবেদন জানিয়েছিলাম । কারণ, ভয়ংকর এই ফ্যাসিস্ট সরকার ডিএ দেওয়া তো দূরের কথা সেই নিয়ে কোনও কথা বললেই আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যকে নানাভাবে হেনস্তা করেছে । বদলি করা হয়েছে । সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনজন মহিলা অফিসারের মিথ্যা শ্লীলতাহানির মামলা করা হয় ।’’
কনফেডারেশনের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘‘স্যাট প্রথমে আমাদের দাবি খারিজ করলেও আমরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানাই । হাইকোর্ট রাজ্যের গালে থাপ্পড় মেরে জানায়, ডিএ কোনও দয়ার দান নয় । ডিএ আইনসঙ্গত অধিকার। তার পর থেকে রাজ্য একাধিকবার ডিএ না দেওয়ার অছিলায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় । সেই আবেদন প্রতেকবার খারিজ হয়েছে । আজও ফের হাইকোর্ট কর্মচারীদের পক্ষেই রায় দিয়েছে । অর্থাৎ এটা পুজোর আগে কর্মচারীদেরকে আদালতের উপহার বলা যায় ।
ডিএ মামলা নিয়ে কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য কনফেডারেশন আরও বলেছে, ‘‘আমরা আদালত অবমাননার মামলা করেছি ৷ আমরা আদালত অবমাননার মামলাতেও জিতব । রাজ্য বাধ্য হবে পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী 34 শতাংশ এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশন 35 শতাংশ হারে ডিএ মিটিয়ে দিতে ৷’’
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, কর্মচারীদের সমস্ত ডিএ দেওয়া হয়ে গিয়েছে । সে ব্যাপারে সংগঠনের তরফে বলা হয়, "এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) অত্যন্ত সম্মানিত ব্যাক্তি । তিনি হাস্যকর ভাবে আদালতে বলেন সমস্ত ডিএ দেওয়া হয়ে গিয়েছে । তিনি নিজেই জুনিয়র আইনজীবীদের সামনে হাসির পাত্র হন ।"
কংগ্রেস (Congress) সমর্থিত সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভন্টমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, ‘‘এর আগে আমরা আদালতের নির্দেশের পর মুখ্য সচিবকে জানিয়েছিলাম ৷ ডিএ-র ব্যাপারে কর্মচারীরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে তৈরি । কিন্তু তিনি কোনও কথা শোনেননি । এবার থেকে আমরা আর রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতার মধ্যে নেই । রাজ্যের সঙ্গে সার্বিক অসহযোগিতার পথেই যাব আমারা ।’’
অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সমর্থিত সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, "2016 সাল থেকে সরকার ডিএ না দেওয়ার ফন্দি ফিকির করেছিল । হাইকোর্ট ফের একবার রিভিউ পিটিশন খারিজ করল ।"
আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় হারেই দিতে হবে মহার্ঘভাতা, রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হাইকোর্টের