কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: একাধিক পদক্ষেপে কলকাতা পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগে আয় বাড়ল । বাণিজ্যিক জঞ্জাল তোলা থেকে শুরু করে, কংক্রিট ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে মোটা টাকা আয় করল কলকাতা পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ ৷ যে আয়ের পরিমাণ প্রায় 40 কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে ৷ আর পুরোটাই হয়েছে 2023-24 এর চলতি অর্থবর্ষে ৷
রাজারহাটে বিশাল এলাকা জুড়ে কলকাতা পৌরনিগমের কঠিন-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে ৷ সেখানে প্লাস্টিক ও নির্মাণ বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ করছে পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ ৷ সেখান থেকেই কম বেশি 7 কোটি টাকা আয় হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, এখন কলকাতায় আকছাড় পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন করে বহুতল তৈরি হচ্ছে ৷ আর সেই কাজের অনুমোদনের পর, পুরনো বাড়ির যে কংক্রিটের বর্জ্য বেরোয়, তা বাধ্যতামূলক ভাবে কলকাতা পৌরনিগমকে দিতে হয় ৷
পুরনো বাড়ির সেই কংক্রিটেক বর্জ্য পৌরনিগমের কঠিন-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্লান্টে চলে যায় ৷ সেখান থেকে পেভার ব্লক, ইট জাতীয় নানা নির্মাণ সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে ৷ এবার আরও একটি প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে ৷ যেখানে অপচনশীল সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বা প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ সেই সব বর্জ্য থেকে টেবিল, চেয়ার, দরজা জাতীয় আরও অনেক কিছু তৈরি করছে কেএমসি ৷ তবে, বাণিজ্যিক জঞ্জাল সাফাই করে এই বিভাগের সব থেকে বেশি আয় হয়েছে ৷ সেগুলি হল দোকান, রেস্তোরাঁ, হাসপাতালের মতো বিভিন্ন স্থায়ী বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের জঞ্জাল ৷
উল্লেখ্য, কলকাতা শহরে একাধিক অফিস, হাসপাতাল, দোকান, রেস্তোরাঁ-সহ নানান বাণিজ্যিক ক্ষেত্র রয়েছে ৷ সেগুলি যতটা অঞ্চল জুড়ে থাকে, সেই বর্গফুটের ভিত্তিতে কলকাতা পৌরনিগম বর্জ্য সাফাইয়ের লাইসেন্স-ফি ধার্য করে ৷ দেখা গিয়েছিল, প্রতিবছর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলি লাইসেন্স-ফি জমা দিয়ে তা পুনর্নবিকরণ করে নিচ্ছে ৷ কিন্তু, জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য যে টাকা প্রতিমাসে বা বছরে জঞ্জাল সাফাই বিভাগে জমা দিতে হয়, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বকেয়া থেকে যায় ৷
সেই বকেয়া টাকা তোলার জন্য নয়া নিয়ম জারি করে কলকাতা পৌরনিগম ৷ সকল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে জঞ্জাল সংক্রান্ত লাইসেন্স পুনর্নবিকরণ করাতে হলে, সাফাইয়ের বকেয়া-ফি আগে মেটাতে হবে ৷ এর ফলে লাইসেন্স পুনর্নবিকরণের জন্য সব বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলি নিয়মিত জঞ্জাল সাফাইয়ের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে ৷ আর জঞ্জাল সাফাইয়ের টাকা বাবদ কংক্রিট ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে আয় দাড়িয়েছে 40 কোটি টাকার কাছাকাছি ৷
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "পরিকল্পনা আছে আরও আয় বৃদ্ধির ৷ কংক্রিট বা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো ৷ সঙ্গে সার বা গ্যাস অধিক পরিমাণে তৈরি করা ৷ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেও রোজগারের পথ করার ভাবনা আছে ৷ সেই লক্ষ্যেই বহু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: