ETV Bharat / state

কমছে বাজার দর, আলুতে সরকারি সহায়ক মূল্য নির্ধারণের দাবি চাষিদের

Potato Cultivation in Malda: জমি থেকে কাঁচা আলুই তুলে নিচ্ছেন চাষিরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, দিন যত গড়াবে, আলুর বাজারদর ততই কমে যাবে ৷ সরকারি সহায়ক মূল্য নির্ধারণ ও সরকারের তরফে ক্যাম্প করে আলু কেনার দাবি কৃষকদের ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 5, 2024, 11:52 AM IST

Etv Bharat
Etv Bharat
সময়ের আগে আলু তুলতে ব্যস্ত আলু চাষিরা

মালদা, 5 মার্চ: ঋণ শোধ করতে জমি থেকে কাঁচা আলুই তুলে নিচ্ছেন চাষিরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, দিন যত গড়াবে, আলুর বাজারদর ততই কমে যাবে ৷ তাছাড়া আলু চাষ করে তাঁদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না ৷ পকেট ভরছে পাইকারদের ৷ এই পরিস্থিতিতে মালদার আলুচাষিরা ধানের মতো আলুরও সরকারি সহায়ক মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারের তরফে ক্যাম্প করে আলু কেনার দাবি তুলছেন ৷

মালদা জেলায় আলুর মূল উৎপাদন পুরাতন মালদা ব্লক ৷ এছাড়া গাজোল ব্লকেও আলুর ভালো চাষ হয় ৷ চলতি মরশুমের প্রথম দিকে আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া ছিল ৷ কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী শীত আর কুয়াশার প্রভাবে আলু চাষিরা ক্ষতির শিকার হয় ৷ কারণ আলুতে ধসা রোগ দেখা দেয় অধিকাংশ কৃষকই সামাল দিতে পারেন না ৷ পাশাপাশি আলুর বাজারদরও প্রতিনিয়ত কমছে ৷ এই পরিস্থিতিতে কাঁচা আলুই বিক্রি করে দিচ্ছেন পুরাতন মালদার অধিকাংশ চাষি ৷

এই প্রসঙ্গেই মহিষবাথানি এলাকার আলুচাষি অমর রাজবংশী বলেন, "এবার আমি 9 বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি ৷ আজ থেকে আলু তুলতে শুরু করলাম ৷ এক বিঘা জমিতে আলু তোলা হলে ফলনের বিষয়টি বুঝতে পারব ৷ মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি ৷ এছাড়াও চাষ করতে গিয়ে আরও ঋণ হয়েছে ৷ তার উপর এবার ধসা রোগ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছে ৷ কিন্তু ঋণ তো পরিশোধ করতে হবে ৷ ক’দিন আগেও হাটে আলুর দাম কুইন্টাল প্রতি 1400-1500 টাকা হয়েছে ৷ বর্তমানে সেই দর নেমে এসেছে 800-1000 টাকায় ৷ দিন যত যাবে, দর তত কমবে ৷ তাই কাঁচা অবস্থাতেই জমি থেকে আলু তুলে নিচ্ছি ৷ এই অবস্থায় ধানের মতো আলুও যদি সরকারি সহায়ক মূল্যে কিনে নেওয়া হয় তবে আমরা খানিকটা বাঁচব ৷"

তাঁর কথার রেশ টেনেই আরেক আলু চাষি রঞ্জিত রাজবংশী জানান, মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন তিনি ৷ সার আর কীটনাশক কিনতে দোকানে ধার হয়েছে ৷ ঋণ পরিশোধ করার জন্য চাপ আসছে ৷ তাই বাধ্য হয়ে কাঁচা আলু জমি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ৷ পাইকাররা বেশি লাভ করছেন বলেও জানান তিনি ৷ আগামিদিনে প্রতি বস্তা 400-500 টাকায় নেমে এলে আরও ক্ষতির সন্মুখীন হতে হবে ৷ প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে আমাদের অন্তত 20 হাজার টাকা খরচ হয় ৷ ফলন ভালো হলে বিঘাতে 100 প্যাকেট (50 কিলোর প্যাকেট) আলু পাওয়া যায় ৷ তবে কখনও কখনও ফলন 50-60 প্যাকেটেও নেমে আসে ৷ তাই আগে থেকেই আলু তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা ৷
আরও পড়ুন:

  1. আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, নাবি ধসা আলু গাছে, ক্ষতির সম্ভাবনা, বাড়বে কি আলুর দাম?
  2. ঘন কুয়াশায় মোড়া বীরভূমে মরশুমের শীতলতম দিন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
  3. আবহওয়া আলু চাষের উপযোগী, ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় আলুচাষিরা

সময়ের আগে আলু তুলতে ব্যস্ত আলু চাষিরা

মালদা, 5 মার্চ: ঋণ শোধ করতে জমি থেকে কাঁচা আলুই তুলে নিচ্ছেন চাষিরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, দিন যত গড়াবে, আলুর বাজারদর ততই কমে যাবে ৷ তাছাড়া আলু চাষ করে তাঁদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না ৷ পকেট ভরছে পাইকারদের ৷ এই পরিস্থিতিতে মালদার আলুচাষিরা ধানের মতো আলুরও সরকারি সহায়ক মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারের তরফে ক্যাম্প করে আলু কেনার দাবি তুলছেন ৷

মালদা জেলায় আলুর মূল উৎপাদন পুরাতন মালদা ব্লক ৷ এছাড়া গাজোল ব্লকেও আলুর ভালো চাষ হয় ৷ চলতি মরশুমের প্রথম দিকে আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া ছিল ৷ কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী শীত আর কুয়াশার প্রভাবে আলু চাষিরা ক্ষতির শিকার হয় ৷ কারণ আলুতে ধসা রোগ দেখা দেয় অধিকাংশ কৃষকই সামাল দিতে পারেন না ৷ পাশাপাশি আলুর বাজারদরও প্রতিনিয়ত কমছে ৷ এই পরিস্থিতিতে কাঁচা আলুই বিক্রি করে দিচ্ছেন পুরাতন মালদার অধিকাংশ চাষি ৷

এই প্রসঙ্গেই মহিষবাথানি এলাকার আলুচাষি অমর রাজবংশী বলেন, "এবার আমি 9 বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি ৷ আজ থেকে আলু তুলতে শুরু করলাম ৷ এক বিঘা জমিতে আলু তোলা হলে ফলনের বিষয়টি বুঝতে পারব ৷ মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি ৷ এছাড়াও চাষ করতে গিয়ে আরও ঋণ হয়েছে ৷ তার উপর এবার ধসা রোগ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছে ৷ কিন্তু ঋণ তো পরিশোধ করতে হবে ৷ ক’দিন আগেও হাটে আলুর দাম কুইন্টাল প্রতি 1400-1500 টাকা হয়েছে ৷ বর্তমানে সেই দর নেমে এসেছে 800-1000 টাকায় ৷ দিন যত যাবে, দর তত কমবে ৷ তাই কাঁচা অবস্থাতেই জমি থেকে আলু তুলে নিচ্ছি ৷ এই অবস্থায় ধানের মতো আলুও যদি সরকারি সহায়ক মূল্যে কিনে নেওয়া হয় তবে আমরা খানিকটা বাঁচব ৷"

তাঁর কথার রেশ টেনেই আরেক আলু চাষি রঞ্জিত রাজবংশী জানান, মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন তিনি ৷ সার আর কীটনাশক কিনতে দোকানে ধার হয়েছে ৷ ঋণ পরিশোধ করার জন্য চাপ আসছে ৷ তাই বাধ্য হয়ে কাঁচা আলু জমি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ৷ পাইকাররা বেশি লাভ করছেন বলেও জানান তিনি ৷ আগামিদিনে প্রতি বস্তা 400-500 টাকায় নেমে এলে আরও ক্ষতির সন্মুখীন হতে হবে ৷ প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে আমাদের অন্তত 20 হাজার টাকা খরচ হয় ৷ ফলন ভালো হলে বিঘাতে 100 প্যাকেট (50 কিলোর প্যাকেট) আলু পাওয়া যায় ৷ তবে কখনও কখনও ফলন 50-60 প্যাকেটেও নেমে আসে ৷ তাই আগে থেকেই আলু তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা ৷
আরও পড়ুন:

  1. আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, নাবি ধসা আলু গাছে, ক্ষতির সম্ভাবনা, বাড়বে কি আলুর দাম?
  2. ঘন কুয়াশায় মোড়া বীরভূমে মরশুমের শীতলতম দিন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
  3. আবহওয়া আলু চাষের উপযোগী, ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় আলুচাষিরা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.