কলকাতা, 16 মার্চ: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত 5 জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। আর সেখানেই তাঁদেরকে প্রহৃত হতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন বহিরাগতদের হাতে। অবশেষে ইডি'র তরফ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছিলেন উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার আধিকারিকরা। সেই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ এই সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। এবার বসিরহাট জেলা পুলিশের থেকে এই সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই।
তবে এই সাতজনের নাম এখনও জানা যায়নি ৷ ধৃত সাত জনকে শনিবার নিজাম প্যালেসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুপুরে তাদেরকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া এই সাত জন প্রথম পর্বে পুলিশের কাছে যে বয়ান দিয়েছিল, তা এবার মিলিয়ে দেখতে চান সিবিআই তদন্তকারিক আধিকারিকরা। এই সাত জনকে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কীভাবে এবং কোথা থেকে গ্রেফতার করেছে সেই বিষয়ে রাজ্যে পুলিশ সূত্রে কোনও খবর জানা যায়নি।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের খবর গত 5 জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যখন তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল সেই সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনার সময় এই সাত জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই সাতজনকে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সিবিআই সূত্রের খবর, সন্দেশখালির শাহজাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বিঘার পর বিঘা জমি কেড়ে নেওয়া, ভেড়ি দখল এবং নারী নির্যাতন চালাত শাহজাহানরা ৷ তার প্রতিবাদে দফায়-দফায় আগুন জ্বলে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে। অশান্তির মাঝে গত 29 ফেব্রুয়ারি ভোররাতে গ্রেফতার হয় শাহজাহান।
এরপর সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিআইডি। শেখ শাহজাহান কার হেফাজতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে সন্দেশখালির 'বাঘ'। পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরকে জেরা করেও বেশ কয়েকজন নতুন ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। গত 14 মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: