হায়দরাবাদ, 5 এপ্রিল: আইপিএল-এর মঞ্চে এখন দেড়শো প্লাস রানের লক্ষ্যমাত্রা কখনওই বড় চ্যালেঞ্জ নয়। প্রথমে ব্যাট করে 5 উইকেটে 165 রান তোলার মানে দলের বোলারদের কাজটা আরও কঠিন করে দেওয়া । শুক্রবার সন্ধ্যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঠিক সেটাই করল চেন্নাই সুপার কিংস । শিবম দুবের 24 বলে 45 রান ছাড়া চেন্নাইয়ের বড় রান এসেছে আজিঙ্কে রাহানে (35) এবং রবীন্দ্র জাদেজার (31) ব্যাট থেকে । কিন্তু দু'জনেই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের নিরিখে ধীর গতির ব্যাট করেছেন ।
রাহানের 35 রান এসেছে 30 বলে যার মধ্যে 2টি বাউণ্ডারি এবং একটি ছক্কা রয়েছে । একইভাবে রবীন্দ্র জাদেজার 31 রান উঠেছে 23 বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে। শিবম দুবের 24 বলে 2টি চার ও 4টি বিশাল ছক্কার দৌলতে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস আরও বড় হতে পারত ৷ তবে তিনি প্যাট কামিন্সের বলে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ।
চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস সেই ভিন্টেজ গাড়ি যার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে কিন্তু বর্তমানটা বেশ নড়বড়ে। মহেন্দ্র সিং আইপিএলের অ্যান্টিক চরিত্র । তিনি কখন জ্বলে উঠবেন তা হয়তো নিজেও জানেন না। তাঁর হঠাৎ হঠাৎ পারফরম্যান্সে সোনালি বিকেলের ঝলক সামনে আসে মাত্র । তবে তিনি আর ম্যাচ উইনার নন।
শুক্রবার চেন্নাই প্রথম থেকেই নড়বড়ে ছিল । রাচিন রবীন্দ্র প্রথম দুটো ম্যাচে আশা জাগিয়ে শুরু করলেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটে তেমন কিছু রান আসেনি । 9 বলে 2টো বাউন্ডারির সাহায্যে 12 রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বদলে মার্করামের হাতে ধরা পড়েন তিনি । অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়ের ব্যাটে নেতৃত্বের চাপ যেন চেপে বসছে । 21 বলে 3টি বাউণ্ডারি, একটি ছক্কায় 26 রান করে ফিরে যান তিনিও । হায়দরাবাদের তিন পেসার কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার এবং জয়দেব উনাদকরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে চেন্নাই হাসফাস করছিল। টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হায়দরাবাদ । অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সিদ্ধান্তকে দুরন্ত বোলিংয়ে যথার্থতা দিলেন বোলাররা । শিবম দুবে ছাড়া বাকি চার চেন্নাই ব্যাটারই সুবিধা করতে পারলেন না হায়দরাবাদের বোলিংয়ের সামনে ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ প্রথম থেকেই চেন্নাইয়ের ওপর রোলার কোস্টার চালাল। অভিষেক শর্মা 12 বলে 37 রান করলেন তিন বাউন্ডারি ও চার ছক্কায়। দীপক চাহারের বলে ধরা পড়ার আগে দলের ব্যাটিংয়ের গতিটা উঁচু তারে বেঁধে দিয়ে যান। ট্রাভিস হেড শুরুতে জীবন পাওয়ার পরে ধীরে ধীরে থিতু হলেন । ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে 78 রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তোলে। বাকি রান অবশিষ্ট 78 বলে তোলা কঠিন চ্যালেঞ্জ নয়। অন্যদিকে, গতবছরের দিগভ্রষ্টতা সরিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অনেক বেশি গোছানো । দুই হারের ধাক্কা সরিয়ে চতুর্থ ম্যাচে তারা জয় পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ।
তিন নম্বরে নেমে মার্করামের 36 বলে হাফ সেঞ্চুরি হায়দরাবাদের জয়ের রাস্তা মজবুত করে দেন। চার নম্বরে এসে শাহবাজ আহমেদ 19 বলে 18 রানের গুরুত্বপূর্ন ইনিংস খেলে যান। একটি ছক্কা ছাড়া বাংলার অলরাউন্ডারের ইনিংস খুচরো রান দিয়ে সাজানো। ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, মার্করামের গড়া ভিতে জয়ের ইমারত গড়তে সমস্যায় পড়েননি ক্লাসেন (10) এবং নীতিশ রেড্ডি (14)। 11 বল বাকি থাকতেই তাই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছয় উইকেটে জয়ী।
আরও পড়ুন:
সাগরপাড়ে ধোনি বনাম গম্ভীর, ইয়েলো ব্রিগেড বধের লক্ষ্যে চেন্নাই পাড়ি নাইটদের
জলে গেল গিলের 89 রান, শশাঙ্কের ব্যাটিং ঝড়ে তিন উইকেটে গুজরাত 'বধ' পঞ্জাবের
গিলের অধিনায়কোচিত ইনিংসে পঞ্জাবকে 200 রানের লক্ষ্যমাত্রা গুজরাতের