রায়গঞ্জ, 28 মার্চ: ভোটে দাঁড়াতে চান না বলে আগেই জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারমন ৷ এরপরই ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বক্তব্য সামনে এসেছে ৷ ইলেক্টোরাল বন্ডকে দুর্নীতি আখ্যা দিয়েছিলেন নির্মলা সীতারমনের স্বামী ৷ এবার যার সাফাই দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বাইরেও তাঁর অন্য পরিচয় আছে বলেও দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷
বুধবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যাঁর কথা বলছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বাইরে তাঁর অন্য পরিচয়ও আছে। এটা আপনারা খোঁজ নিন, তাহলেই জানতে পারবেন। এরা লেফ্ট লেবারাল গ্যাং-এর সদস্য। এখন তো সেটাই বলবে। তাঁরা চায় চিনের টাকা আসুক এদেশ। চিন ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ফান্ডিং করুক। অভিযোগ উঠেছে, কেজিবি-র রিপোর্ট আছে, যে সিপিআইএম-কে, কমিউনিস্ট পার্টিকে সেই সময় রাশিয়া সাহায্য করত। সে সময় ইলেকট্ররাল বন্ড থাকলে ধরা পড়ে যেত। বন্ড ছিল না তাই ধরা পড়েনি।"
দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন-সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, "অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মত ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আমার ধারণা চেঞ্জ হচ্ছে। এবার আমরা ইটাহারেও লিড পাব।" অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখনতো ইলেক্টোরাল বন্ড হওয়াতে আপনারা জানতে পারছেন যে কে, কাকে, কত টাকা দিয়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ড চালু হওয়ার আগে কংগ্রেস বা বিজেপি কত টাকা পেয়েছে, কোন দলের কোন ব্যবসায়িক সংস্থা থেকে আপনারা বলতে পারবেন ? ডকুমেন্ট আছে ? কোনও নথি নেই। এটা একটা সিস্টেম চালু করেছে আমাদের সরকার। আমরা এটাও বলেছি, এটাই যে বেস্ট তা নয়। অ্যাভেলেবেল বেস্ট। ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনও বুদ্ধি আসে, তাহলে নতুন বুদ্ধি লাগানো যেতে পারে। কিন্তু এর আগে যে সিস্টেমটা ছিল সেটা তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। কে কাকে টাকা দিচ্ছে, কত টাকা দিচ্ছে, ভারতবর্ষের কোনও কোম্পানি দিচ্ছে, নাকি বিদেশি কোনও কোম্পানি দিচ্ছে কেউ জানতে পারত না।"
পাশাপাশি না-না ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। মহুয়া মৈত্রকে ইডি'র তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "ইডি'র বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌঁড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌঁড়ে যেত। এই রাধাও দৌঁড়বে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।" এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি ? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন ভারতের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন ? দেশে তো মোদির সরকার। এটা কোনও যুক্তি হলো নাকি ? সরকার সবার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড ব্যবহার করবেন না ? তৃণমূলের কোনও নেতার তবে আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।"
আরও পড়ুন
তৃণমূলকে হারাতে অনেক বামপন্থী এখন বিজেপির সঙ্গে, যাদবপুর থেকে বার্তা শুভেন্দুর
কপালে প্লাস্টার নিয়েও বজায় পরম্পরা, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীকে নিয়ে ইফতারে মুখ্যমন্ত্রী