বহরমপুর, 18 মে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড অধীর চৌধুরীকে প্রয়োজনে বেরিয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছে ৷ সেই হুঁশিয়ারিকেও সোজাসুজি উপেক্ষা করলেন অধীর চৌধুরী ৷ জানিয়ে দিলেন, যারা তাঁকে এবং তাঁর দলকে খতম করতে চাইছে তাঁদের তিনি খাতির করবেন না ৷ তাঁর কাছে এই লড়াই নৈতিকতার ৷
এদিন অধীর বহরমপুর থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আমার বিরোধিতা, নৈতিক বিরোধিতা ৷ আমাকে কেউ খতম করবে, আর আমি তাঁকে খাতির করব ! তা তো হয় না ৷ এটা হতে পারে না ৷ আমার বিরোধিতার মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই ৷ আমার বিরোধিতা পশ্চিমবঙ্গে আমার পার্টিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ৷ এই লড়াই আমি থামাতে পারি না ৷ কারণ আমি দলের একজন একনিষ্ট কর্মী ৷" এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক নীতিবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতা আসতে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের ব্যবহার করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
অধীর বলেন, "বামেদের সঙ্গে যখন লড়াই ছিল, তখন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের ব্যবহার করেছিলেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য যা খুশি করতে পারেন ৷ তিনি সাম্প্রদায়িক, মাওবাদী যা খুশি হতে পারেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আদর্শকে বিসর্জন দিতে পারেন ৷ আমি পারব না ৷" গতকাল অধীর চৌধুরী তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ইন্ডিয়া' জোটকে সমর্থনের বিষয়ে বলেছিলেন, "দিদি জল মেপে এখন 'ইন্ডিয়া' জোটের সঙ্গে আসতে চাইছেন ৷ যেদিকে পাল্লা ভারি থাকবে উনি সেদিকে যাবেন ৷ বিজেপিতেও চলে যেতে পারেন ৷ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করি না ৷"
আজ উত্তরপ্রদেশে 'ইন্ডিয়া' জোটের সাংবাদিক বৈঠকে খাড়গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর কথা বলেছিলেন ৷ বাইরে থেকে সমর্থনের বিষয়টি নতুন নয় ৷ ইউপিএ সরকারে বামেরা বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল ৷ কিন্তু, মমতা পরে আরেকটি বিবৃতি দিয়েছেন ৷ সেখানে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি 'ইন্ডিয়া' জোটে আছেন ৷" এরপরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মমতাকে নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় ৷
যা নিয়ে অধীরকে এককথায় দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শই দিলেন খাড়গে ৷ তিনি বলেন, "অধীর চৌধুরী এটা ঠিক করার কেউ নন ৷ কী করা হবে, তার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হাইকমান্ড আছে ৷ হাইকমান্ড ঠিক করবে ৷ আর তা যদি মানতে না-পারেন, তা হলে বাইরের পথ খোলা আছে ৷"
আরও পড়ুন: