ETV Bharat / politics

'ইন্ডিয়া' জোট হবে, তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরেও আশায় বাঁচছে কংগ্রেস !

Congress on 42 TMC Candidate List: আদতে কি সম্ভব বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট গঠন করা ? প্রশ্ন শুরুর দিন থেকেই ছিল ৷ আজ সেই প্রশ্নে পাকাপাকিভাবে অন্তত এরাজ্য থেকে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের 42 জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ৷ সেখানেই কংগ্রেস এখনও দাবি করছে, জোট যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 10, 2024, 8:46 PM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT

নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: বাংলায় প্রবাদ আছে, 'আশায় বাঁচে চাষা' ৷ কিন্তু, ভারতের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহারটা ঠিক এমন, তা হল- 'আশায় বাঁচে কংগ্রেস' ৷ আজ 'ইন্ডিয়া' জোটের কফিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের 42 জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ৷ কিন্তু, তাঁর পরেও জোট নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস শিবির ৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অন্তত তাই বিশ্বাস করেন ৷

রবিবার চোখ ধাঁধানো ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মমতার রাজ্য থেকে 42 আসনে প্রার্থী ঘোষণার মেগা-শো শেষে খাড়গে বলেন, "মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত, যে কোনও সময় আমাদের জোট বাস্তবায়িত হতে পারে ৷" তবে, সরাসরি তৃণমূলকে এই প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে কোনও নিশানা না করলেও, সোশাল মিডিয়ায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷

বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, "ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বারবার পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটি সম্মানজনক বোঝাপড়া করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছে ৷ কংগ্রেস সবসময় বলেছে যে, এই ধরনের একটি বোঝাপড়া আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে, একতরফা ঘোষণার মাধ্যমে নয় ৷" স্পষ্টতই মমতার ব্রিদগেড থেকে রাজ্যের 42 আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস শিবির ৷

তবে, এটা যে হওয়ার ছিল ৷ তা আগে থেকেই বলে দিয়েছিলেন মমতা ৷ যেখানে 'ইন্ডিয়া' জোটের শেষ দু’টি বৈঠক, যার একটি ভার্চুয়ালি হয়েছিল, তা বয়কট করে তৃণমূল ৷ কিন্তু, তারপরেও কংগ্রেস হাইকমান্ড দাবি করে গিয়েছিল, তারা আসন ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ৷ কিন্তু, মমতা একাধিক জনসভা থেকে স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, রাজ্য থেকে তিনি কোনও আসনই ছাড়বেন না ৷ আর আজ সেটা ব্রিগেড থেকে করেও দেখালেন ৷

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই দলের নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক এই জোটে সবচেয়ে বড় বাধা শুরু থেকেই ছিল ৷ কারণ, প্রদেশ কংগ্রেস 2012 সালে তৃণমূল সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, কোনওভাবেই শাসকদলের সঙ্গে তার নেতৃত্বের বোঝাপড়া হয়নি ৷ বিশেষত, 2016 সালের বিধানসভায় কংগ্রেস ও বামেরা জোট করার পর, সেই সম্ভাবনা একেবারেই খারিজ হয়ে যায় ৷ আর রাজ্যে দু’দলের মধ্যে তিক্ততা চরমে ওঠে অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর ৷ প্রতিটি মুহূর্তে সরাসরি তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিশানা করে গিয়েছেন ৷ ফলে এরাজ্যে অনন্ত 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার ছিল, তা বর্তমান করে দিলেন মমতা ৷

আরও পড়ুন:

  1. ব্রিগেডের মঞ্চে কর্পোরেট লুক, চমকের মাঝে কি সারল্য হারাচ্ছে মমতার 'সাদামাটা' ঘাসফুল ?
  2. ইন্ডিয়া জোটকে বড় ধাক্কা মমতার, একাই প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
  3. তৃণমূলের জনগর্জনে হলুদ পতাকায় 'অধিনায়ক অভিষেক'

নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: বাংলায় প্রবাদ আছে, 'আশায় বাঁচে চাষা' ৷ কিন্তু, ভারতের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহারটা ঠিক এমন, তা হল- 'আশায় বাঁচে কংগ্রেস' ৷ আজ 'ইন্ডিয়া' জোটের কফিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের 42 জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ৷ কিন্তু, তাঁর পরেও জোট নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস শিবির ৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অন্তত তাই বিশ্বাস করেন ৷

রবিবার চোখ ধাঁধানো ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মমতার রাজ্য থেকে 42 আসনে প্রার্থী ঘোষণার মেগা-শো শেষে খাড়গে বলেন, "মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত, যে কোনও সময় আমাদের জোট বাস্তবায়িত হতে পারে ৷" তবে, সরাসরি তৃণমূলকে এই প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে কোনও নিশানা না করলেও, সোশাল মিডিয়ায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷

বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, "ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বারবার পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটি সম্মানজনক বোঝাপড়া করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছে ৷ কংগ্রেস সবসময় বলেছে যে, এই ধরনের একটি বোঝাপড়া আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে, একতরফা ঘোষণার মাধ্যমে নয় ৷" স্পষ্টতই মমতার ব্রিদগেড থেকে রাজ্যের 42 আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস শিবির ৷

তবে, এটা যে হওয়ার ছিল ৷ তা আগে থেকেই বলে দিয়েছিলেন মমতা ৷ যেখানে 'ইন্ডিয়া' জোটের শেষ দু’টি বৈঠক, যার একটি ভার্চুয়ালি হয়েছিল, তা বয়কট করে তৃণমূল ৷ কিন্তু, তারপরেও কংগ্রেস হাইকমান্ড দাবি করে গিয়েছিল, তারা আসন ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ৷ কিন্তু, মমতা একাধিক জনসভা থেকে স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, রাজ্য থেকে তিনি কোনও আসনই ছাড়বেন না ৷ আর আজ সেটা ব্রিগেড থেকে করেও দেখালেন ৷

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই দলের নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক এই জোটে সবচেয়ে বড় বাধা শুরু থেকেই ছিল ৷ কারণ, প্রদেশ কংগ্রেস 2012 সালে তৃণমূল সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, কোনওভাবেই শাসকদলের সঙ্গে তার নেতৃত্বের বোঝাপড়া হয়নি ৷ বিশেষত, 2016 সালের বিধানসভায় কংগ্রেস ও বামেরা জোট করার পর, সেই সম্ভাবনা একেবারেই খারিজ হয়ে যায় ৷ আর রাজ্যে দু’দলের মধ্যে তিক্ততা চরমে ওঠে অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর ৷ প্রতিটি মুহূর্তে সরাসরি তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিশানা করে গিয়েছেন ৷ ফলে এরাজ্যে অনন্ত 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার ছিল, তা বর্তমান করে দিলেন মমতা ৷

আরও পড়ুন:

  1. ব্রিগেডের মঞ্চে কর্পোরেট লুক, চমকের মাঝে কি সারল্য হারাচ্ছে মমতার 'সাদামাটা' ঘাসফুল ?
  2. ইন্ডিয়া জোটকে বড় ধাক্কা মমতার, একাই প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
  3. তৃণমূলের জনগর্জনে হলুদ পতাকায় 'অধিনায়ক অভিষেক'
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.