সন্দেশখালি, 1 মার্চ: সন্দেশখালিকাণ্ডে আরও এক আইএসএফ নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ । আয়েশা বিবির পর এ বার গ্রেফতার হলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সদস্য জুবি সাহা ।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরে নিউটাউনের আবাসনে হানা দেয় পুলিশের একটি টিম । সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় এই আইএসএফ নেত্রীকে । তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । সেই অভিযোগেই এ দিন জুবি সাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়া ধৃতের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানো-সহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । যদিও এই গ্রেফতারিকে অনৈতিক এবং মিথ্যা মামলায় পরিকল্পনা করে ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়েছে আইএসএফের তরফে ।
এর আগে, সন্দেশখালির অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে আইএসএফ নেত্রী আয়েশা বিবিকে মিনাখাঁ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । কিন্তু, চারদিনের মাথাতেই ওই আইএসএফ নেত্রীর জামিন হয়ে যায় । যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ । এ ক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেই দাবি আইএসএফ নেতৃত্বের । বিশেষ করে সন্দেশখালিকাণ্ডে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করার পরও যেভাবে আদালতে মুখ পুড়ছে পুলিশের, তারপরও যে তাঁদের ভূমিকার পরিবর্তন হয়নি, তা এই গ্রেফতারি থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালিকাণ্ডে আইএসএফের রাজ্য নেত্রী জুবি সাহাকে ধরতে বৃহস্পতিবার থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে সন্দেশখালি থানার পুলিশ । আবাসনের চারদিকে পুলিশের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে এ দিনই । অভিযোগ,পুলিশ নিউটাউনের আবাসনের চারদিক ঘিরে ফেলে । এরপর রাত হতেই ওই আবাসনে প্রবেশ করে পুলিশ জুবি সাহার খোঁজ করতে শুরু করে বলে অভিযোগ । জুবি ওই আবাসনের নাতাশা খানের ফ্ল্যাটে থাকেন । পুলিশ ফ্ল্যাটের বাইরে দাঁড়িয়ে দাবি করতে থাকেন,সন্দেশখালিতে অশান্তির সঙ্গে জড়িত আইএসএফ নেত্রী । তার প্রমাণ এবং তল্লাশি চালানোর কাগজপত্র দেখাতে বলেন নাতাশা । এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাঁধে তাঁর । যদিও শেষ পর্যন্ত জোর করেই ফ্ল্যাটে ঢুকে সেখান থেকে আইএসএফের ওই মহিলা নেত্রীকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ।
এ দিকে, ধৃত জুবি সাহাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে শুক্রবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: