মালদা, 1 মে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অমিত শাহের সামনে তিনটি শর্ত রাখেন তিনি ৷ এই তিন শর্তের মধ্যে একটিও যদি পূরণ করতে পারেন অমিত শাহ, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷
বুধবার দুপুরে সামসি কলেজ ময়দানে মালদা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সভার মঞ্চ থেকেই সরাসরি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “আমার কোনও পদ লাগে না । আমি মানুষের কাজ করি । অমিত শাহ যদি চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছেড়ে দিক, তবে আমি তাঁকে তিনটি শর্ত বা সুযোগ দিতে চাই । তিনটি শর্তের মধ্যে একটা শর্তও তিনি পূরণ করলে কথা দিচ্ছি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব ।’’
কী কী সেই তিনটি শর্ত? অভিষেক বলেন, ‘‘প্রথম শর্ত, বাংলার 1 কোটি 64 লক্ষ কোটি টাকা গায়ের জোরে কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে । সেই টাকা এক মাসের মধ্যে ছেড়ে দিলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব । দ্বিতীয় শর্ত, বিজেপির নেতারা বলছে, আবাস যোজনায় কেন্দ্র টাকা পাঠিয়েছে । 2021 সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার 10 পয়সা দিয়েছে প্রমাণ করতে পারলে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব । তৃতীয় শর্ত, আমি ডায়মন্ডহারবার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি । এখনও সময় আছে, মনোনয়ন দিন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে হারান, রাজনীতি ছেড়ে দেব । তিনটির মধ্যে যে কোনও একটি শর্ত পূরণ করলেই রাজনীতি ছেড়ে দেব ।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “আজ থেকে দশদিন আগে কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রী বলেছেন, বিজেপি ভালো ফল করলে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে । আপনারা আমাকে কথা দিন, আগামী সাত তারিখ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আমাদের হাত শক্তিশালী করবেন । আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যতদিন বাংলায় আমাদের সরকার আছে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, এমনকি রাষ্ট্রপতিও যদি চান, আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্পর্শ করতে পারবে না । বিজেপির যত বড়ই নেতা হোক না কেন, কাউকে আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্পর্শ করতে দেব না ।”
এ দিন জনসভার মঞ্চ থেকে কোচবিহারের ওই নেত্রীর একটি অডিয়ো ক্লিপও শোনান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির । বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “আমাদের নেত্রীর মন্তব্যকে বিকৃত করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে । আমাদের নেত্রী বলেছিলেন, তৃণমূল আর তিন মাসের বেশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে পারবে না । সেই কথাকে বিকৃত করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশিদিন চলবে না, আগামী তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হবে’ এভাবে শোনানো হয়েছে । আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি । প্রয়োজনে এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব ।”
আরও পড়ুন: