দিঘা, 29 জুন: মাছ ধরে ফেরার পথে মাঝসমুদ্রে উলটে গেল দু'টি ট্রলার ৷ বুধবার সন্ধেয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিঘার মোহনার কাছে ৷ জানা গিয়েছে, ইলিশের সন্ধানে মাঝ সমুদ্রে গিয়েছিল ট্রলারগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলি ফিরে আসতে শুরু করে । ফিরে আসার সময়ই দিঘা মোহনার ঢোকার মুখে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দু'টি ট্রলার। দিঘা মোহনায় ঢোকার মুখে চরায় ধাক্কা লেগে উলটে যায় একটি ট্রলার। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল আর একটি ট্রলার ৷ সমুদ্র উত্তাল থাকায় ওই ট্রলারটিও উলটে যায় ।
ট্রলার দুটির নাম অন্নদাময়ী এবং শিবানী । এই দুই ট্রলারে প্রায় 30 জন মৎস্যজীবী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে । তাঁরা ট্রলার ডুবতে দেখে সমুদ্রের ঝাঁপ দেন ৷ তারপর সাঁতার কেটে কোনরকমে শঙ্করপুরের দিকে পাড়ে উঠেন। সেই ট্রলার দুটিকে পরে উদ্ধার করা হয় । গত 15 জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল ৷ সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরেই মৎস্যজীবীরা ইলিশের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন গভীর সমুদ্রে । তবে গতকাল ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টি চলতে থাকায় ট্রলারগুলি একসঙ্গে দিঘা মোহনায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। তখনই চরায় ধাক্কা লেগে পালটি খেয়ে যায় দুটি ট্রলার ৷
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের চড়ে ধাক্কা লেগে ডুবল ট্রলার, নিরাপদে উদ্ধার মৎস্যজীবীদের
স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে মৎস্যজীবীরা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে পারেন। কোনও হতাহতের খবর না-এলেও ট্রলারদু'টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি ট্রলার তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় 80 থেকে 90 লক্ষ টাকা। দিঘা মোহনায় ডেইজিংয়ের কাজ না-হওয়ার জন্য মূলত এই দুর্ঘটনা ৷ এমনটাই দাবি করেন দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ট্রলারে থাকা অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা করেন মালিক ও মৎস্যজীবীরা ।
