ETV Bharat / state

তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার 6 BJP কর্মী

author img

By

Published : Oct 2, 2019, 7:48 PM IST

Updated : Oct 2, 2019, 8:40 PM IST

পথ অবরোধ

তৃণমূল নেতা শেখ সইদুল এলাকায় ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের ৷ সেই কাটমানি ফেরতের দাবিতে রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে জড়ো হন এলাকাবাসীরা ৷ কাটমানি ফেরতের দাবিতে তমলুকের তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে ছ'জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানার পুলিশ ৷

তমলুক, 2 অক্টোবর : কাটমানি ফেরতের দাবিতে তমলুকের তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে ছ'জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানার পুলিশ ৷ তারই প্রতিবাদে দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মেচেদা হলদিয়া রাজ্য সড়কের কাকটিয়া বাজারে পথ অবরোধ করেন BJP কর্মীরা ৷ ঘণ্টাদুয়েক পর পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

তৃণমূল নেতা শেখ সইদুল এলাকায় ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের ৷ সেই কাটমানি ফেরতের দাবিতে রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে জড়ো হন এলাকাবাসীরা ৷ অভিযোগ, সে সময় সইদুল স্থানীয়দের মারধর করতে চেষ্টা করেন ৷ তারপরই উত্তেজিত বাসিন্দারা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে ৷ রাতেই সইদুল তমলুক থানায় অভিযোগ করেন ৷ তিনি জানান, দলে যোগ না দেওয়ায় BJP কর্মীরা তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ৷

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গত রাতে এলাকা থেকে 6 জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ৷ আজ তাদের তমলুক আদালতে তোলা হয় ৷ ঘটনার পর থেকেই বাড়ি থেকে পলাতক সইদুল ৷ অন্যদিকে, দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই ক্ষুব্ধ BJP কর্মীরা ৷ দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বেলা 11 টা নাগাদ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা ৷

শহিদ মাতঙ্গিনী মণ্ডলের সম্পাদক সহদেব সামন্ত বলেন, "বিষয়টি কোনও তৃণমূল, BJP দলের নয় ৷ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে স্থানীয়দের থেকে টাকা তুলেছিল তৃণমূল নেতা ৷ সেই টাকা ফেরতের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করেছিল ৷ অথচ পুলিশ আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ৷ কয়েকমাস আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় প্রায় 250 জন এই এলাকা থেকে BJP-তে যোগ দেয় ৷ আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে দলীয় কর্মীদের নিঃশর্তে মুক্তি দিক ৷"

দেখুন ভিডিয়ো

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, "আমাদের সরকারের আমলে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য কাউকে কোনও টাকা দিতে হয় না ৷ যদি সইদুল কারও থেকে কোনও টাকা নিয়ে থাকে, তাহলে তারা থানায় অভিযোগ জানাবে ৷ পুলিশ তা তদন্ত করে দেখবে ৷ এক্ষেত্রে কেউই টাকা ফেরতের জন্য কোথাও কোনও অভিযোগ জানায়নি ৷ তাহলে বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালাল কেন ? এখানে এসব করে কিছু হবে না ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷"

OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে 6 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ তাদের আজ দুপুরে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক 16 অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷

Intro:তমলুক,২ অক্টোবর: কাটমানি ফেরতের দাবিতে তমলুকের তৃণমূল নেতা শেখ শইদুলের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছিল এলাকাবাসী‌। অভিযোগের ভিত্তিতে গত রাতে ছয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানার পুলিশ। আজ তারই প্রতিবাদে ও দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মেছেদা হলদিয়া রাজ্য সড়কের কাকটিয়া বাজারে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি কর্মীরা । ফলে ব্যাপক যানজট হয় রাজ্য সড়কে ।প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরে তমলুক থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রনে আসে পরিস্থিতি ।Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে তৃণমূল শেখ শইদুলের বাড়িতে ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে তোলা কটমানি ফেরতের দাবিতে চড়াও হয়েছিল এলাকাবাসী । অভিযোগ শোয়াদীঘি গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের ১০৭ নম্বর বুথের সভাপতি সইদুল সে সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মারতে উদ্ধত হন। তারপরেই উত্তেজিত বাসিন্দারা তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। রাতেই সইদুল তমলুক থানায় অভিযোগ করেন বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার কারণেই তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তমলুক থানার পুলিশ গত রাতে গ্রাম থেকে ছয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় বিজেপি কর্মীরা হলেন, শেখ মিরাজ, সেখ জানে আলম ,শেখ মইনুদ্দিন, রহিম খান, নাসিরা বিবি ও আমিরুল সেখ। ধৃতদের আজ তমলুক আদালতে তোলা হয়। ঘটনার পর থেকেই বাড়ি থেকে পলাতক সইদুল। অপরদিকে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের পর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মীরা। এরপর দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে।

Conclusion:
এ বিষয়ে শহীদ মাতঙ্গিনী মন্ডলের সম্পাদক সহদেব সামন্ত অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি কোন তৃণমূল বিজেপির দলের নয়। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিল তৃণমূল নেতা। সেই টাকা ফেরতের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করেছিল। অথচ পুলিশ আমাদেরই কর্মীদের বেছে-বেছে গ্রেপ্তার করেছে । মাসখানেক আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় প্রায় আড়াইশো জন মানুষ ওই এলাকা থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন । তারপরেই এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেড়েছে তাই পুলিশ বেছে বেছে আমাদের দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে দলীয় কর্মীদের নিঃশর্তে মুক্তি দিক।


এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য তথা শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, আমাদের সরকারের আমলে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য কাউকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না। যদি শইদুল কোন টাকা-পয়সা নিয়ে থাকে কোন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাহলে তারা থানায় অভিযোগ জানাবে। পুলিশ তা তদন্ত করে দেখবে। এক্ষেত্রে কেউই টাকা ফেরতের জন্য কোথাও কোন অভিযোগ জানায়নি। তাহলে বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালাল কেন? আসলে বিজেপি এসব করে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি এসব করে এখানে লাভ হবেনা। আইন আইনের পথে চলবে।

থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের আজ দুপুরে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন
Last Updated :Oct 2, 2019, 8:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.