ETV Bharat / state

Police Attacked by Villagers: খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

author img

By

Published : Aug 14, 2023, 1:07 PM IST

খুনে অভিযুক্তকে নিয়ে আনার সময় গ্রামবাসীদের কাছে বেধড়ক মার খেল পুলিশ ৷ লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে পুলিশকে ব্যাপক প্রহার করা হয় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে। আহত হয়ে দুই পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

Police Attacked by Villagers
গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

আউসগ্রাম, 14 অগস্ট: খুনের ঘটনায় এক অপরাধীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের হাতে মার খেয়ে আহত হয়েছেন আউসগ্রাম থানার আইসি আব্দুল রব খান ও সেকেন্ড অফিসার উত্তম মণ্ডল। তাঁদের প্রথমে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ সুমি সোরেন নামে এক মহিলা ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। সেই রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার স্থানীয় একটা ধানজমিতে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ দেখে মহিলার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই মহিলার স্বামী নেই। বাড়িতে তাঁর ছেলে ও বউমা নিয়ে সংসার। ওই মহিলা দিনমজুরের কাজ করতেন। সেই ঘটনায় পুলিশ মৃতের ছেলে মিঠুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবি, জেরায় মিঠুন তার মাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।

এরপর রবিবার রাতে পুলিশ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে আউসগ্রামে তার বাড়িতে যায়। সেখানে তার মাকে খুন করার জন্য কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো পুলিশ উদ্ধার করার চেষ্টা করে। সেই সময় মিঠুন গ্রামবাসীদের জানায় পুলিশ তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। এই কথা শোনার পরই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। তাঁরা আউসগ্রাম থানার আইসি, সেকেন্ড অফিসার-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের উপরে লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে চড়াও হন। ঘটনায় 8 জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা সেখান থেকে কোনওরকম পালিয়ে বাঁচেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুমি সোরেন গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যেটা তাঁর ছেলে মেনে নিতে পারেনি। যা নিয়ে তাদের অশান্তি চলছিল। ঘটনার দিন সন্ধে নাগাদ তার মা ওষুধ আনতে গেলে মিঠুন রাস্তায় তাঁকে পথ আটকায়। তাঁকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার সেই কোদাল উদ্ধার করতে পুলিশ মিঠুনের বাড়ি যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার আইসি কামনাশিস সেন বলেন, "আইসি, সেকেন্ড অফিসারের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ এর আইনত ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন: গুলি করে ইটভাটার মালিককে খুন কেতুগ্রামে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.