ETV Bharat / state

নেই প্রতীক্ষালয়, ঠান্ডায় ত্রিপল পেতে রাত কাটে রোগীর আত্মীয়দের

author img

By

Published : Jan 13, 2020, 9:42 PM IST

No waiting room at Medinipur Medical College
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেই প্রতীক্ষালয়

নেই কোনও প্রতীক্ষালয় ৷ তাই, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোদ-জলে, প্রবল ঠান্ডায় ত্রিপল পেতেই রাত কাটান রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা । তাঁদের বক্তব্য, প্রতীক্ষালয়ের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি । কাজেই চিকিৎসার প্রয়োজনে এসে মশার কামড় সহ্য করে নোংরা-আবর্জনার মধ্যে রাত্রিযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিবারের লোকজন ।

মেদিনীপুর, 13 জানুয়ারি : রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা । কিন্তু, তা সত্ত্বেও রোদ-জলে, প্রবল ঠান্ডায় ত্রিপল পেতেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের ।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেই কোনও প্রতীক্ষালয় । নেই রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের রাত্রিবাসের জন্য কোনও ব্যবস্থাও । অথচ এই হাসপাতালেই রোগীর পরিজনদের জন্য একসময় পৌরসভা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধায় মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করেছিল পৌরসভা । তার দেখভালের দায়িত্বে ছিল পৌরসভা । কিন্তু, তা সত্বেও খোলা আকাশের নিচে, ত্রিপল পেতে, নোংরা-আবর্জনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা ।

ঠান্ডায় ত্রিপল পেতে ঘুমোতে হয় রোগীর আত্মীয়দের

অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে হেলদোল নেই প্রশাসন এমনকী পৌরসভারও । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সদর হাসপাতাল হওয়ার পর থেকেই এখানে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ে । বিভিন্ন ব্লক থেকে শ'য়ে শ'য়ে গরিব মানুষ আসেন সরকারি সুযোগ-সুবিধায় চিকিৎসা করাতে । কিন্তু, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভেতরে রোগীর পরিজনদের থাকার জন্য কোনও প্রতীক্ষালয় নেই । কাজেই চিকিৎসার প্রয়োজনে এসে মশার কামড়ের মধ্যে করিডরে রাত্রিযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিবারের লোকজন ।

উদাসীন পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । যদিও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের জন্য একসময় পৌরসভা কর্তৃক দুটি সরকারি শয্যাগার গঠন করা হয়েছিল, একটির নাম রাজীব গান্ধি পুরোনিলয়ম, অপরটি আবুল কালাম আজাদ । এই বিল্ডিংয়ে থাকার জন্য কুড়ি টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল সেসময় । কিন্তু বর্তমানে সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে 50 টাকা থেকে 150 টাকা । পাশাপাশি এই শয্যাগারটি একটি নার্সিংহোমকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা । সরকারি প্রতীক্ষালয়ে একটি নার্সিংহোমের রমরমা বাজার চলছে । তাই বাধ্য হয়েই হাসপাতালের নোংরা ডাস্টবিনের সামনে রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা ।

অভিযোগ, প্রতীক্ষালয়ের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি । এ'বিষয়ে মহকুমা শাসকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমি বিষয়টা ঠিক জানি না ৷ তবে মানুষ যে ওখানে থাকতে পারছে না সে-বিষয়ে খোঁজখবর নেব ৷ তারপর ব্যবস্থা নেব ।" শয্যাগার বেসরকারি নার্সিংহোমকে ভাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা পৌরসভার তৎকালীন বিষয় ছিল । বর্তমানে পৌর বোর্ড ভেঙে যাওয়ায় আমি দায়িত্বে আছি । পুরো বিষয়টা নিয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেব ।" বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক রেশমি কমলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আমি ঠিক জানি না । তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং ব্যবস্থা নেব । তাছাড়াও, শীঘ্রই আমরা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে একটি প্রতীক্ষালয় বানিয়ে দেব । তার ব্যবস্থাও চলছে ।"

Intro:রয়েছে থাকার সরকারি সুযোগ সুবিধা, তা সত্বেও ছাদহীন ভাবে রোদে জলে এবং প্রবল ঠাণ্ডায় ত্রিপল পেতে দিন রাত কাটাচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা, সপ্তাহ থেকে মাস খানেক ধরেই ত্রিপল পেতেই এই ভাবেই দিন কাটিয়েছে চলেছেন ,তারা জানেই না সরকারি সুযোগ-সুবিধা রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে ,ফলে ক্ষোভ তাদের মধ্যে ।


Body:রয়েছে থাকার সরকারি সুযোগ সুবিধা, তা সত্বেও ছাদহীন ভাবে রোদে জলে এবং প্রবল ঠাণ্ডায় ত্রিপল পেতে দিন রাত কাটাচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা, সপ্তাহ থেকে মাস খানেক ধরেই ত্রিপল পেতেই এই ভাবেই দিন কাটিয়েছে চলেছেন ,তারা জানেই না সরকারি সুযোগ-সুবিধা রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে ,ফলে ক্ষোভ তাদের মধ্যে ।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এ এক করুন চিত্র । মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নেই রোগীর আত্মীয় স্বজনদের রাত্রি নিবাসের কোনো ব্যবস্থা । এই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের থাকার জন্য একসময় পৌরসভা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধাই কুড়ি টাকার বিনিময়ে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করেছিলেন পৌরসভা এবং তার দেখভালের দায়িত্ব ছিল পৌরসভা কিন্তু সেগুলো থাকা সত্বেও রোগীর আত্মীয় স্বজনের ছাদ হীন ভাবে ত্রিপল পেতে নোংরা আবর্জনা মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন । তাদের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি ,নেই কোনো সুযোগ-সুবিধার প্রচার । তাই রাস্তার ধারে ত্রিপল কিনে তা রাস্তার বিছিয়ে সপ্তাহ মাস এবং মাসের পর মাস এই ভাবে দিন কাটছে তাদের , এই নিয়ে হেলদোল নেই সরকারি প্রশাসন এবং পুরসভার । বলা যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সদর হাসপাতাল হওয়ার পর থেকেই এখানে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ে ,বিশেষ করে শিশুদের জন্য মাতৃমা গঠন করা হয়েছে ,হয়েছে নতুন বিল্ডিং এর ব্যবস্থা ,যেখানে সদর হাসপাতালে সুপারস্পেশালিটি পরিষেবা দেওয়া হয় আর তাতেই ভিড় বাড়ে জেলার সদর হাসপাতালে । কারণ বিভিন্ন ব্লক থেকে সয়ে সয়ে গরীব রোগীরা আসে সরকারি সুযোগ সুবিধাই ট্রিটমেন্ট করাতে । তারা নিজেদের ঘরের আত্মীয়-স্বজনদের তো হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন সেখানে ছাদের ব্যবস্থা ,থাকার খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা হয় কিন্তু তাদের সঙ্গে থাকতে আশা বাকি আত্মীয়স্বজনরা পড়ে বিপাকে । কারণ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের থাকার কোন থাকার ব্যবস্থা নেই । তাই সেই সব দূর দুরান্তের রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের রাতে ছাদ উপেক্ষা করেই মশার কামড় এবং এই প্রবল ঠান্ডায় তারা ত্রিপল মাথায় দিয়ে কোন প্রকারে রাতের পর রাত কাটিয়ে যাচ্ছেন একনাগাড়ে । এই বিষয়ে উদাসীন পৌরসভা ও সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । যদিও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের রোগীর আত্মীয় স্বজনদের জন্য একসময় পৌরসভা কর্তৃক গঠন করা হয়েছিল দুটি সরকারি শয্যাগারের ,একটির নাম রাজীব গান্ধী পুরোনিলয়ম অপরটি হলো আবুল কালাম আজাদ । এই দুটি শয্যাগার সেই সময় নির্মিত করা হয়েছিল ,যার উদ্দেশ্য ছিল যাতে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা কম পয়সায় রাত্রিনিবাস করতে পারে । এই বিল্ডিং এ থাকার জন্য কুড়ি টাকা প্রতি সেসময় ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে 50 টাকা থেকে 150 টাকা এবং ভাড়ার পাশাপাশি এই শয্যাগারের মধ্যে একটি ভাড়া দিয়ে দিয়েছে বেসরকারি নার্সিংহোমকে মেদিনীপুর পৌরসভা । সেই সরকারি শয্যাগারে একটি বেসরকারি নার্সিং হোম এর রমরমা বাজার চলছে । অপরদিকে আরেকটি শয্যাগারের কোন প্রকার প্রচারের আলোয় না থাকায় সেখানে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা জানতে পারে না । তাই তারা হাসপাতালের নোংরা ডাস্টবিনের সামনে রাতের পর রাত কাটিয়ে যাচ্ছেন । এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের মধ্যে কিন্তু বলার জায়গা নেই । কোথায় যাবেন ?

এদিন রাতের অন্ধকারে আমরা যখন তাদের জিজ্ঞেস করি অনেকের উত্তর দেন রোগীকে ভর্তি করেছি কি করবো ,এখানেই যে কাটাতে হবে । কারণ কখন কি যে লাগে ,সেটা কি করে বলব আর আমরা সত্যিই জানিনা সরকারি সুযোগ-সুবিধাই আমাদের রাত্রিবাসের জায়গা রয়েছে । যদি জানতাম তাহলে কি এই মশার কামড় খেয়ে জল ঝড়ে এর নোংরা ডাস্টবিনের সামনে পড়ে থাকতাম ।

অনেকে আবার জানান বহুদূর থেকে রোগীকে নিয়ে এসে ভর্তি করেছি ,কখন কি লাগবে ,কখন কি ওষুধ প্রয়োজন সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য এখানে শুয়ে থাকি ,তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা থাকার ব্যবস্থা থাকলে খুব ভালো হতো ,অন্তত রাতটুকু একটু বিশ্রাম নিতে পারতাম । কারন এই বৃষ্টিতে এবং ঠান্ডায় আমাদের খুব কষ্ট হয় । কেউ আমাদের বিষয়টা দেখেনা, আমরা এইভাবে রাতের পর রাত মাসের-পর-মাস কাটিয়ে দিচ্ছি ।


এই নিয়ে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিল উদাসিন সরকারি কর্তৃপক্ষ । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পাশে সরকারি শয্যাগার বিষয়ে এদিন সদর মহকুমা শাসকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টা ঠিক জানিনা ,তবে মানুষ যে ওখানে থাকতে পারছে না ,সে বিষয়ে খোঁজখবর নেব তারপর ব্যবস্থা নেব । তবে একটি শয্যাগার বেসরকারি নাসিংহোম কে ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন এটা পৌরসভার তৎকালীন বিষয় ছিল । বর্তমানে পৌরসভার ডিসলভড হয়ে যাওয়ার জন্য আমি দায়িত্বে আছি । পুরো বিষয়টার নিয়ে আমি ওয়াকিবহাল নয় ,তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেব ।


অপরদিকে এ বিষয়ে জেলার জেলাশাসক ডক্টর রেশমি কমল কে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আমি ঠিক জানি না ,তবে যদি এরকম হয়ে থাকে সরকারি সুযোগ সুবিধা থাকার ব্যবস্থা হয়ে থাকে তা আমরা কিভাবে প্রচারে আনা যায় তা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং ব্যবস্থা নেব । তাছাড়াও আমরা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের একটি আত্মীয়-স্বজনদের থাকার জন্য থাকার রুম বানিয়ে দেবো তাড়াতাড়ি তার ব্যবস্থায় চলছে ।


Conclusion:রয়েছে থাকার সরকারি সুযোগ সুবিধা, তা সত্বেও ছাদহীন ভাবে রোদে জলে এবং প্রবল ঠাণ্ডায় ত্রিপল পেতে দিন রাত কাটাচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা, সপ্তাহ থেকে মাস খানেক ধরেই ত্রিপল পেতেই এই ভাবেই দিন কাটিয়েছে চলেছেন ,তারা জানেই না সরকারি সুযোগ-সুবিধা রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে ,ফলে ক্ষোভ তাদের মধ্যে ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.