ETV Bharat / state

Paschim Medinipur Girls School: বিদ্যাসাগরের জেলায় স্কুল চালাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী

author img

By

Published : Jul 26, 2022, 9:03 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে আনন্দময়ী জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে পড়েছে শিক্ষার মান (Paschim Medinipur Girls School) ৷

Paschim Medinipur Girls School news
বিদ্যাসাগরের জেলায় স্কুল চালাচ্ছেন ডিগ্রুপের কর্মী

দাসপুর, 26 জুলাই: বিদ্যাসাগরের জেলায় শিক্ষার এ কি হাল! আছে স্কুল, আছে পড়ুয়া । স্কুলের দ্বায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন গ্রুপ ডি কর্মী । বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি । স্কুল বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামের বেকার কয়েকজন যুবতীকে দিয়ে চলছে স্কুলের পঠনপাঠন ।

এলাকার আশেপাশে ছিল না কোনও বালিকা বিদ্যালয় (Paschim Medinipur Girls School)। তাই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে আনন্দময়ী জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলেন এলাকার মানুষ । সেই লড়াই বলতে গেলে বলতে হয়, বিদ্যাসাগরের নারীশিক্ষাকে প্রধান্য দিয়ে এলাকার মানুষ 1981 সালে দলমত নির্বিশেষে স্থাপন করেছিলেন বালিকা বিদ্যালয় । 2012 সালে সরকারিভাবে অনুমোদন পায় সেই বালিকা বিদ্যালয় ।

প্রথমে শতাধিক-ছাত্রী নিয়ে স্কুলের পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল । প্রয়োজন মতো ছিল শিক্ষিকাও । সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবসর নেন অনেকে । এমনকি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার 2021 সালে অকালমৃত্যুতে শিক্ষিকা শূন্য হয়ে পড়ে স্কুলটি । স্কুলের খাতায় কলমে একজন মাত্র স্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মী । আর তিনিই স্কুলের শিক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । এই স্কুল টিকিয়ে রাখতে এই গ্রুপ ডি কর্মী নিজের মাসিক বেতনের টাকাও স্কুল পরিচালন কমিটির দেওয়া কিছু টাকা দিয়ে অস্থায়ীভাবে এলাকার বেকার যুবতীদের শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ করেই চলছে স্কুলের পঠনপাঠন ।

বিদ্যাসাগরের জেলায় স্কুল চালাচ্ছেন ডিগ্রুপের কর্মী

এমনকি গ্রুপ ডি কর্মীকেও মাঝেমধ্যে নিতে হয় ক্লাস । অপরদিকে শিক্ষিকা না-থাকায় শতাধিক ছাত্রী থেকে কমতে কমতে বর্তমানে 15 জন ছাত্রীতে দাঁড়িয়েছে । আর এর ফলেই শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা । যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবি স্কুলের প্রাচীরে জ্বলজ্বল করছে । এমনকি লেখা রয়েছে একাধিক বাণী ।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের দেখা নেই ! স্কুল ছাড়ছে পড়ুয়ারা

যদিও এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-শিক্ষা অধিকারীক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, "ঘটনা সত্য । পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে আশা করি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.