গড়বেতা, ২ এপ্রিল : "ইউনাইটেড ফ্রন্টের একটা জোকার দরকার ছিল। সেই জোকার হলেন মমতা ব্যানার্জি।" - কার্যত এই ভাষাতেই তৃণমূল নেত্রীকে একহাত নিলেন BJP নেতা মুকুল রায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে গড়বেতায় আজ দলীয় সভায় তিনি বলেন, "মমতা ব্যানার্জি ইউনাইটেড ফ্রন্টের স্বপ্ন দেখছেন। মোদিজি যে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা ওরাও জানেন। তাই প্রতিটি সভাতেই তাঁরা মোদির নাম জপ করছেন।"
মুকুল বলেন, "এই কিছুদিন আগে ব্রিগেডে একটা সার্কাস হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, গোলাম নবি আজাদ, স্ট্যালিন ও আরও অনেকে। দুদিন আগে মমতা ব্যানার্জি বিশাখাপটনমে চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনে সভা করতে গেলেন। কিন্তু সেখানে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে। এদিকে মমতা ব্যানার্জি বলছেন যে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করবেন।"
মুকুল আরও বলেন, "এই সার্কাস পার্টিতে সবাই বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব। মমতা ব্যানার্জি বলছেন আমি, চন্দ্রবাবু নাইডু বলছেন আমি, স্ট্যালিন বলছেন আমি, দেবগৌড়া বলছেন আমি, কেজরিওয়ালও বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব। ফলে এটা কি হবে? সার্কাস। আর সার্কাসে তো জোকার লাগে। সেই জোকার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই তাঁরা মমতা ব্যানার্জিকে ডেকেছেন।"
মুকুল দাবি করেন, "গড়বেতায় তৃণমূলে কেউ থাকবে না। গড়বেতা তৃণমূল শূন্য হয়ে যাবে।" তিনি নিজেকে উপমা দিয়ে বলেন, "আমরা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।"
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন, "BJP রাজ্যে ৩০ টি আসন পাবে। রাজ্যের শাসকদল তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেও বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোল পাকিয়ে BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে চালানোর চেষ্টা করছে।" পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,
"এদের নিজস্ব কোনও পরিকাঠামো নেই। রাজ্য সরকারের কর্মীদের উপর নির্ভর করতে হয় তাদের। এদিকে রাজ্য সরকারের কর্মীরা আগে CPI(M)-র হয়ে কাজ করত, এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।" এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নামে যে আধিকারিকরা কাজ করছেন তারা কেউ নিরপেক্ষ নয়।"