আসানসোল, 29 মার্চ: টানটান উত্তেজনায় প্রায় পৌনে দু’ঘন্টা সওয়াল জবাবের শেষে আসানসোল সিজিএম আদালতের বিচারক জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠালেন (Jitendra Tiwari to jail custody for 14 days) । সরকার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জিতেন্দ্র তেওয়ারির পুনরায় পুলিশের হেফাজতের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন । অন্যদিকে, জিতেন্দ্র তেওয়ারির আইনজীবী শেখর কুন্ডু জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন । কিন্তু দু’পক্ষেরই আবেদন নাকচ করে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক ৷ আগামী 11ই এপ্রিল পরবর্তী শুনানি ।
14 দিন পুলিশে হেফাজতের পর জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে মঙ্গলবার আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলা হয় । এদিন প্রায় পৌনে দু‘ঘন্টা ধরে সওয়াল জবাব চলে । সওয়াল জবাবে সরকারপক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে পুনরায় পুলিশি হেফাজত চেয়ে বলেন, ''পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঘটনার দিনে 3 হাজার কম্বল বিলির জন্য 6 হাজার কুপন বিলি করা হয়েছিল । এছাড়াও ওইদিন ইলেকট্রিকের যে বিল দেওয়া হয়েছে সেটি ভুয়ো । যে ডেকোরেটরকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল তার কোনও লাইসেন্স ছিল না । পুলিশি তদন্তে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে । তাই ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ জানতে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে পুনরায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন ।''
আরও পড়ুন: রামনবমী-নববর্ষেও তাঁকে জেলে রাখতে চায় পুলিশ, অভিযোগ জিতেন্দ্রর
অন্যদিকে, জিতেন্দ্র তেওয়ারির আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান, "জিতেন্দ্র তেওয়ারি প্রাক্তন বিধায়ক । আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রও ছিলেন। তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন । তিনি তদন্ত যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন ৷ তাই তাকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক । রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবেই তাকে পুলিশ হেফাজতে নিতে চাইছে ।"
যদিও বিচারক দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের শেষে দু পক্ষের আবেদনই নাকচ করে দেন ৷ জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন । আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে আছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারিও নিজেও বিচারকের কাছে আবেদন করেন, যে গতবার রামনবমীর সময় তিনি শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন । তাই তার কথাটি বিবেচনা করা হোক । তার পরিবারের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই । যদিও জিতেন্দ্র তেওয়ারির আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক । এরপরেই জিতেন্দ্র তেওয়ারি জানান, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রও বলবে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি । অনেক রকমের চক্রান্ত চলছে ।
