হরিহরপাড়া, 29 জুলাই: প্রধান শিক্ষকের বদলি চাই, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের ৷ বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে হরিহরপাড়া ব্লকের বারুইপাড়া হাই স্কুলে (Students Agitation in Hariharpara)। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত স্কুলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও রাজা ভৌমিক। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ছাত্র এবং অভিভাবক মহলে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধান সূত্র বার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত রায় বলেন, "আমি যা করি ছাত্র ও স্কুলের স্বার্থেই করি। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমার কাছে অনভিপ্রেত। আমি সদ্য এই স্কুলে যোগ দিয়েছি। জানি না, এর পিছনে কারও কোনও ক্ষুদ্র স্বার্থ কাজ করছে কি না।" কিন্তু কেন এই বিক্ষোভ? জানা গিয়েছে প্রধান শিক্ষক নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিদিন তিনি স্কুলে আসার পরই স্কুলের গেট খোলা হবে ৷ তাঁর আসার আগে কেউ স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না ৷ আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল শুক্রবার ৷
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগরের জেলায় স্কুল চালাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাইহান আলি বলে,"প্রধান শিক্ষক নিজে না আসা পর্যন্ত গেট ম্যানকে স্কুলের দরজা না খোলার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। আর তাই সাড়ে দশটা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রাজ্য সড়কের পাশে বা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই গেট খোলার অপেক্ষা করি আমরা। বহুবার দশটার মধ্যে গেট খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি"
প্রধান শিক্ষক স্কুলে ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করে পড়ুয়ারা। প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বদলির দাবিতে সোচ্চার হয় ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দ্রুত স্কুলে পৌঁছে উত্তেজনার রাশ ধরে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে স্কুলে যান স্থানীয় বিধায়ক নিয়ামত শেখও। পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিতে অনড় রয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, শুধু স্কুল গেট না খোলাই অন্যতম সমস্যা নয়। প্রধান শিক্ষকের আমলে পঠন-পাঠনের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেই সরকারি বরাদ্দ, নিজেদের টাকায় পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়াচ্ছেন শিক্ষকরা
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, আশরাফুল শেখ বলে, "অন্য স্কুলে বই দিয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও আমরা পিছিয়ে রয়েছি।" সুশান্তবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা থাকাই বই দেওয়া হয়নি। দু'এক দিনের মধ্যে বই দিয়ে দেওয়া হবে।