ETV Bharat / state

Malda Demonstration মাদ্রাসায় ভূতুড়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বহিষ্কারের দাবিতে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

author img

By

Published : Aug 25, 2022, 10:00 PM IST

ভূতুড়ে কর্মীদের বহিষ্কারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হল শিক্ষকদের (Madrasa protest) । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেল পুলিশ । পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা । ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসার (Milangarh Sajjadia High Madrasa) ৷

Malda Demonstration
মাদ্রাসায় অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

মালদা, 25 অগস্ট: ভূতুড়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল । এলাকাবাসীর বিক্ষোভও হয়েছিল । সেই সময় বলা হয়েছিল, এক মাসের মধ্যে এই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের নিয়োগপত্র সবার সামনে পেশ করবেন (Madrasa protest)। তা করতে পারেননি তাঁরা । শেষ পর্যন্ত আজ অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা মাদ্রাসায় তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান । ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসায় (Milangarh Sajjadia High Madrasa) ৷

এ নিয়ে এক অভিভাবক মণিরুল ইসলাম বলেন, "এই মাদ্রাসায় ছ'জন ভূতুড়ে কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন । তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন কেউ জানে না । তাঁরা কোনও নিয়োগপত্র দেখাতে পারছেন না । 2017 সালে এখানে শেষবার পরিচালন কমিটির নির্বাচন হয় । সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল । দায়িত্বে এসেই তারা যা ইচ্ছে তা করতে শুরু করে । এনিয়ে এর আগেও আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম । তদন্ত দাবি করেছিলাম । কিন্তু কোনও তদন্ত হয়নি । তাই আজ ফের বিক্ষোভ দেখাচ্ছি । থানার আইসি সকাল থেকেই এখানে আছেন । এখন বিডিও ও কোরিয়ালি চক্রের এসআই আসলেন । দেখি, তাঁরা কী বলেন । তবে এই ভূতুড়ে কর্মীদের না সরানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে ।"

মাদ্রাসায় অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রদীপ সিংয়ের অফিসে সিবিআই তল্লাশি

আজ অভিভাবক ও পড়ুয়ারা মাদ্রাসার ছ'জন কর্মীকে ওই চত্বর থেকে সরিয়ে দেন । এমনই এক শিক্ষাকর্মী মহম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে 2015 সাল থেকে আমি এখানে কাজ করছি । কিন্তু কিছু লোক আমাদের কাজ করতে দিতে চাইছে না । সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বেতন দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে । আমাদের নিয়োগপত্র কোর্টে জমা রয়েছে । আমাদের কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছেও রয়েছে ।"

মাদ্রাসার টিআইসি ফাকরুদ্দিন আল মাহমুদ বলেন, "আমি গত 6 অগস্ট মাদ্রাসার চার্জ নিয়েছি । এখনও আমাকে চার্জ হ্যান্ডওভার করা হয়নি । এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানি না । আগের প্রধান শিক্ষক এই ছ'জনকে কীভাবে অ্যাপ্রুভাল দিয়েছিলেন, সেটাও জানি না । ছ'জনের মধ্যে চারজন শিক্ষক, দু'জন শিক্ষাকর্মী । বর্তমানে এখানে 6-7 জন শিক্ষক রয়েছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.