মালদা, 6 ডিসেম্বর : প্রতিবেশী এক যুবকের দায়িত্বে নিজের তিন বছরের শিশুকন্যাকে রেখে গিয়েছিলেন মা ৷ শিশুকন্যার জন্যই খাবার আনতে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেই সুযোগে দুধের শিশুকে ধর্ষণ করে ওই যুবক ৷ গত বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা ৷ ওই ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত যুবক ৷ এদিকে শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায় ৷
অবশেষে গতকাল গভীর রাতে মানিকচক থানার মালদা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের একটি গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ 7 দিনের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ আজ বিচারক তাকে1দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ধর্ষিতা নাবালিকার বাবা পেশায় শ্রমিক ৷ কর্মসূত্রে এখন তিনি ভিন রাজ্যে রয়েছেন ৷
মায়ের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার তিনি কাঁথা বানানোর জন্য প্রতিবেশী কণক রবিদাসকে বাড়িতে ডাকেন ৷ কণক জুতো সেলাই করে ৷ সময় পেলে ব্যান্ডপার্টিতে বাজনা বাজায় ৷ শীতের সময় সে কাঁথা-তোষক ইত্যাদি বানিয়ে থাকে ৷ সেদিন বেলা তিনটে নাগাদ তিনি কণকের জিম্মায় মেয়েকে রেখে তার জন্য খিচুড়ি আনতে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান ৷ ফিরে দেখেন, মেয়ে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ তার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে ৷ কণকের কোনও পাত্তা নেই ৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখানকার চিকিৎসকরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু অর্থের অভাবে তিনি মেয়েকে মেডিকেলে নিয়ে যেতে পারেননি ৷
প্রতিবেশীদের সহায়তায় গত 30 নভেম্বর তিনি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে কণকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এদিকে ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে উধাও হয়ে যায় কণক ৷ তাকে না পেয়ে গ্রামের বাসিন্দারা তার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ এছাড়াও ওই যুবকের বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ বছর পাঁচেক আগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ৷