Viral Audio Clip: ভাইরাল মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষের অডিয়ো ক্লিপ ! প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল সমর্থক

Viral Audio Clip: ভাইরাল মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষের অডিয়ো ক্লিপ ! প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল সমর্থক
পাঁচ বছর আগের একটি অডিয়ো ক্লিপ ফের প্রকাশ্যে ৷ যে অডিয়োটি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষের (Kolkata Medical College)৷ সেখানে কী বলছেন তিনি ?
কলকাতা, 20 জানুয়ারি: আচমকাই পাঁচ বছর আগের অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে । যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত । আরজি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রেক্ষিতে সরকারি হাসপাতালে এহেন ট্রায়ালের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেনের বিনিময় এথিক্স কমিটির অনুমোদন পায় কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী (Viral Audio Clip of Kolkata Medical College Vice Principal)। আর তারপরই ভাইরাল উপাধ্যক্ষের অডিয়ো । প্রীতম শীল নামে এক তৃণমূল সমর্থক এই অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন ।
ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে । এক সংবাদমাধ্যমে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ক্যানসার ট্রায়াল বন্ধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী । তারপরেই ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপে প্রীতম শীল দাবি করেন, সেটি অঞ্জন অধিকারী । বর্তমানে যিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ । সেই ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "এই গোটা বিষয়টা স্লিপারি রাখতে মাঝে মধ্যে মাখন দিতে হবে ।" এর সঙ্গে হিসাব নিকাশ নিয়েও বেশ কিছু কথা । তবে কোন বিষয়ে এই কথা বলছেন তিনি তা কিন্তু একদমই স্পষ্ট নয় অডিয়ো ক্লিপে ।
আরও পড়ুন : চাকরির পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়কের অডিয়ো ভাইরাল
যদিও এই প্রসঙ্গে প্রীতমের দাবি, "শ্রদ্ধেয় ডাক্তার অধিকারী, আপনাকে ধন্যবাদ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়ে আপনার মতামতের জন্য । অন্যদের মতো, এই বিলম্বিত বোধোদয়ের কারণ কি শুধুই বিবেক ? না যে দোষে আপনি নিজেই দুষ্ট, সেটাকে ঢাকতেই গলা ফাটালেন ? এই অডিয়োটি তো বহুল প্রচারিত ।" এর পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, "সরকার, স্বাস্থ্য ভবন বা এথিক্স কমিটিকে দোষ দেওয়ার আগে মনে রাখবেন এরা ছিল বলেই আপনার এই অনৈতিক কাজ ধরা পড়ে গিয়েছিল এবং আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ।"
তবে এই বিষয় উপাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ধরনের অডিয়ো ক্লিপের বিষয় তিনি কিছুই জানেন না । বছর পাঁচেক আগে এই ধরনের একটা অডিয়ো ক্লিপের কথা তিনি নিজের বিরুদ্ধে শুনেছিলেন । তবে সেটাই এটা কি না, তাও স্পষ্ট নয় । পাশাপাশি আদৌ এটা তাঁর গলা কি না, সেই বিষয় সংশয়ও প্রকাশ করেছেন অঞ্জনবাবু । ফলে যে অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সেটা কীসের প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে, তাও স্পষ্ট নয় । তারপরেও কেন এই কথা উঠে এল সে নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন ।
আরও পড়ুন : চাকরি দুর্নীতির অডিয়ো ফাঁসের পর মহিলা সভাপতির নাম পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা
