জাঙ্গিপাড়া, 20 মে: হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা ৷ আইটিবিপি'র জওয়ান আটকের ঘটনায় একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে ফের সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ করলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ জাঙ্গিপাড়ার গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে কী ঘটেছিল, সেই বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি ৷ এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারগুলো তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলােদর উপর অত্যাচার করছেন ৷ অথচ ওনার ফোর্স এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সত্ত্বেও একবার খোঁজ নেননি প্রধানমন্ত্রী ৷"
সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে কল্যাণের কটাক্ষ, "দিনে তিনবার রেখা পাত্রকে ফোন করেন তিনি ৷ অথচ মণিপুর বা বাংলা, কোথাও একবারও ফোন করে খবর নেওয়ার প্রয়োজন করেন না তিনি ৷" সেইসঙ্গে সিপিএম প্রার্থীকেও আক্রমণ করেন তিনি ৷ নাম না-করে দীপ্সিতা ধরকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, "কোথায় গেলেন সিপিএমের মহিলা প্রার্থী? নারী সুরক্ষা নিয়ে এত কথা বলেন তিনি ৷ কিন্তু আজ কোথায় তিনি! কিছু করতে পারবেন না ৷ বরং যে দলের সঙ্গে যুক্ত, নিজের সুরক্ষা ঠিক করে রাখুন ৷"
এদিকে তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যে পালটা জবাব দেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "সন্দেশখালির প্রসঙ্গ আসলেই কখনও মণিপুর, কখনও হাথরস তো কখনও আইটিবিপি-র জওয়ানকে টেনে আনছেন ৷ কেন এমন করছে তৃণমূল? তবে কী শেখ শাহজাহানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে!" লকেট আরও বলেন, "জওয়ানদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ নয় ৷ তাঁরা দেশের সীমান্তে রয়েছেন আমাদের রক্ষা করার জন্য ৷ সুতরাং তাঁদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ নয় ৷"
রবিবার রাতে বিরালা হাই স্কুলের ভোট কেন্দ্রে ডিউটিতে ছিলেন চার ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) । অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে নাগ রাজু নামে এক জওয়ান ওই গ্রামের এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এর পরই অভিযুক্ত জওয়ানকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা ৷ তাঁকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে ব্যাপক মারধরও করা হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ । ওই আইটিবিপি জওয়ানকে উদ্ধার করে আটক করা হয় ৷ নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানায় পুলিশ। ঘটনার পর বিরালা হাই স্কুলে ভোটের ডিউটিতে আসা বাকি তিন জন আইটিবিপি জওয়ানকেও সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷
আরও পড়ুন: