কলকাতা, 28 জুলাই : জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । এবার থেকে প্রতি 15 দিন অন্তর জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । একথা জানান স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন । তিনি বলেন, "কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না । সবাইকে কাজ করতে হবে ।"
কিছুদিন আগে রাজ্যস্তরের পর্যালোচনা বৈঠক হয় । সেই বৈঠকে সামনে আসে রাজ্যের তরফে পড়ুয়াদের যে সমস্ত জিনিস (বই, জুতো, পোশাক) দেওয়া হয় তার হিসাবে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে । দেখা গেছে, কিছু জেলায় যত পড়ুয়া রয়েছে তার থেকে বেশি ব্যাগ ও বই চাওয়া হয়েছে । আবার কোথাও পড়ুয়ার তুলনায় কম ব্যাগ ও বই চাওয়া হয়েছে । এই গরমিলেই ক্ষুব্ধ হন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন । ভর্ৎসনা করেন জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের । যদিও জেলা পরিদর্শকদের অভিযোগ, জিনিসপত্রের জন্য তাঁদের কাছ থেকে কোনও রিক্যুইজিশন চাওয়া হয়নি । অকারণেই তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে ।
বিষয়টি অস্বীকার করেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন । তিনি জানান, সার্কেল স্তর থেকে এই সমস্ত ডেটা আপলোড করা হয় । 'সরস্বতী প্রিন্টিং প্রেসে'-র পোর্টালে সার্কেল ইন্সপেক্টররা ডেটা আপলোড করে । কিন্তু জেলা পরিদর্শকরা সেই ডেটা যাচাই না করেই তা গ্রহণ করে নেন । স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও DICE-এর তথ্যের সঙ্গে ডেটা মিলিয়ে দেখেনি । পরে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নতুন পোর্টাল 'বাংলার শিক্ষা'-র সঙ্গে ওই ডেটা মেলাতে গিয়েই দেখা যায় গরমিল । কেন যাচাই না করেই ওই ডেটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে পর্যালোচনা বৈঠকে ।
এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না হয় তার জন্য পদক্ষেপ করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । 'সরস্বতী প্রিন্টিং প্রেসে'-র পোর্টালকে 'বাংলার শিক্ষা'-র সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই 'বাংলার শিক্ষা'-য় প্রত্যেক পড়ুয়ার তথ্য আপলোড করার কাজ শুরু হয়ে গেছে । পরের সপ্তাহে সব তথ্য এই পোর্টালে আপলোড করার উপর জোর দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । সব তথ্য আপলোড হয়ে গেলে জিনিসপত্রের সঠিক রিকোয়ারমেন্ট বিভিন্ন অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের মতে, এতে ডেটা অটোকারেক্টও হয়ে যাবে । তাতে যা অ্যাকচুয়াল রিকোয়ারমেন্ট হবে তাই রিক্যুইজিশন যাবে । এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে ।