ETV Bharat / state

গরমিল রুখতে কড়া স্কুল শিক্ষা দপ্তর, 15 দিন পর পর বৈঠক

author img

By

Published : Jul 28, 2019, 11:12 PM IST

স্কুল শিক্ষা দপ্তর

স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন বলেন, "কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না । সবাইকে কাজ করতে হবে ।"

কলকাতা, 28 জুলাই : জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । এবার থেকে প্রতি 15 দিন অন্তর জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । একথা জানান স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন । তিনি বলেন, "কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না । সবাইকে কাজ করতে হবে ।"

কিছুদিন আগে রাজ্যস্তরের পর্যালোচনা বৈঠক হয় । সেই বৈঠকে সামনে আসে রাজ্যের তরফে পড়ুয়াদের যে সমস্ত জিনিস (বই, জুতো, পোশাক) দেওয়া হয় তার হিসাবে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে । দেখা গেছে, কিছু জেলায় যত পড়ুয়া রয়েছে তার থেকে বেশি ব্যাগ ও বই চাওয়া হয়েছে । আবার কোথাও পড়ুয়ার তুলনায় কম ব্যাগ ও বই চাওয়া হয়েছে । এই গরমিলেই ক্ষুব্ধ হন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন । ভর্ৎসনা করেন জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের । যদিও জেলা পরিদর্শকদের অভিযোগ, জিনিসপত্রের জন্য তাঁদের কাছ থেকে কোনও রিক্যুইজিশন চাওয়া হয়নি । অকারণেই তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে ।

বিষয়টি অস্বীকার করেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন । তিনি জানান, সার্কেল স্তর থেকে এই সমস্ত ডেটা আপলোড করা হয় । 'সরস্বতী প্রিন্টিং প্রেসে'-র পোর্টালে সার্কেল ইন্সপেক্টররা ডেটা আপলোড করে । কিন্তু জেলা পরিদর্শকরা সেই ডেটা যাচাই না করেই তা গ্রহণ করে নেন । স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও DICE-এর তথ্যের সঙ্গে ডেটা মিলিয়ে দেখেনি । পরে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নতুন পোর্টাল 'বাংলার শিক্ষা'-র সঙ্গে ওই ডেটা মেলাতে গিয়েই দেখা যায় গরমিল । কেন যাচাই না করেই ওই ডেটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে পর্যালোচনা বৈঠকে ।

এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না হয় তার জন্য পদক্ষেপ করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । 'সরস্বতী প্রিন্টিং প্রেসে'-র পোর্টালকে 'বাংলার শিক্ষা'-র সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই 'বাংলার শিক্ষা'-য় প্রত্যেক পড়ুয়ার তথ্য আপলোড করার কাজ শুরু হয়ে গেছে । পরের সপ্তাহে সব তথ্য এই পোর্টালে আপলোড করার উপর জোর দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । সব তথ্য আপলোড হয়ে গেলে জিনিসপত্রের সঠিক রিকোয়ারমেন্ট বিভিন্ন অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।

শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের মতে, এতে ডেটা অটোকারেক্টও হয়ে যাবে । তাতে যা অ্যাকচুয়াল রিকোয়ারমেন্ট হবে তাই রিক্যুইজিশন যাবে । এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে ।

Intro:কলকাতা, ২৮ জুলাই: জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের নিয়ে আরো কড়া হচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এবার থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সার্কেল ইন্সপেক্টর ও জেলা পরিদর্শকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবে স্কুল শিক্ষা দফতর। এমনই জানাচ্ছেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন। তিনি জানান, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে কাজ করতে হবে।

Body:স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কড়া হওয়ার পিছনের কারণ কিছুদিন আগে রাজ্য স্তরের পর্যালোচনা বৈঠক। যেখানে জেলা পরিদর্শকদের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। কারণ, রাজ্যের তরফ থেকে পড়ুয়াদের যে সমস্ত জিনিস দেওয়া হয় যেমন, বই, জুতো, পোষাকের হিসাবে একাধিক অসঙ্গতি দেখা গেছে। দেখা গেছে, বেশ কিছু জেলায় পড়ুয়া সংখ্যার থেকে বহু অতিরিক্ত ব্যাগ, বই চাওয়া হয়েছে। আবার কোথাও পড়ুয়া সংখ্যার থেকে কম চাওয়া হয়েছে। এই ধরনের গরমিলে ক্ষুব্ধ শিক্ষা সচিব ভর্ৎসনা করেন জেলা পরিদর্শক ও সার্কেল ইন্সপেক্টরদের। যদিও জেলা পরিদর্শকদের তরফে অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে নাকি কোনো রিক্যুইজিশন চাওয়া হয়নি জিনিসপত্রের জন্য। শুধু শুধুই তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

বিষয়টি অস্বীকার করেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। তিনি জানাচ্ছেন, সার্কেল স্তর থেকে এই সমস্ত ডেটা আপলোড করা হয়। স্বরস্বতি প্রিন্টিং প্রেসের পোর্টালে সার্কেল ইন্সপেক্টররা ডেটা আপলোড করে। কিন্তু, জেলা পরিদর্শকরা সেই ডেটা ক্রস চেক না করেই অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছেন। স্কুল শিক্ষা দপ্তরও DICE-এর তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেনি পরে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নতুন পোর্টাল বাংলার শিক্ষার সঙ্গে ওই ডেটা মেলাতে গিয়েই ধরা পরে একাধিক অসঙ্গতি। পুনরায় চেক না করে কেন ওই ডেটাকে অনুমোদন দেওয়া হল তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল পর্যালোচনা বৈঠকে।

এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে জানা গেছে, স্বরস্বতি প্রিন্টিং প্রেসের পোর্টালকে বাংলার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হতে চলেছে। বাংলার শিক্ষায় প্রত্যেকে পড়ুয়ার তথ্য আপলোড করার কাজ চলছে। পরের সপ্তাহে সব তথ্য বাংলার শিক্ষায় আপলোড করার উপর জোর দিয়েছে দপ্তর। সব তথ্য এক জায়গায় চলে এলে জিনিসপত্রের সঠিক রিকোয়ারমেন্ট বিভিন্ন অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের মতে, এতে ডেটা অটোকারেক্টও হয়ে যাবে। তাতে যা অ্যাকচুয়াল রিকোয়ারমেন্ট হবে তাই রিক্যুইজিশন যাবে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে।

এ ছাড়া, প্রত্যেক স্তরের আধিকারিকদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ১৫ দিন অন্তর ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। মণীশ জৈন বলেন, "ঠিক করেছি এবার থেকে প্রত্যেক ১৫ দিন অন্তর সব DI, SI-দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করব। বিভিন্ন পয়েন্টে তাঁদের ফিডব্যাক নেব। কোনো সার্কেলের রিপোর্ট খারাপ থাকলে ভিডিও কনফারেন্সে ওই সার্কেলের SI-কে এক্সপ্লেন করতে বলা হবে। এটা করতে হবে। নাহলে এনারা সতর্ক হবেন না। কেউ কোনো ছাড় পাবেন না। কাজ করতে হবে।"

Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.