ETV Bharat / state

সপ্তম পে কমিশন চালুর দাবিতে যাদবপুরের অধ্যাপকদের কর্মবিরতি

author img

By

Published : Mar 14, 2019, 6:12 AM IST

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

সপ্তম পে কমিশন চালু করার দাবিতে গতকাল তিন ঘন্টার কর্মবিরতি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী অধ্যাপকরা।

কলকাতা, ১৪ মার্চ : অবিলম্বে সপ্তম পে কমিশন চালু করার দাবিতে গতকাল তিন ঘন্টার কর্মবিরতি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী অধ্যাপকরা। গতকাল দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বারান্দায় অবস্থান করেন তাঁরা। কর্মবিরতি ও এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA, অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের যাদবপুর শাখা ও ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাথমিক শাখার সদস্যরা।

সপ্তম পে কমিশন চালুর পাশাপাশি কর্মসূচি থেকে আরও একটি দাবি তোলেন অধ‍্যাপকরা। তা হল, ২০১১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কমিটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, " এটা শুধু JUTA-র প্রোগ্রাম নয়। এটা JUTA, ABUTA-র যাদবপুর শাখা এবং WBCUTA যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমারি চ‍্যাপ্টার, আমরা এই তিনটে সংগঠন মিলে একসঙ্গে এই প্রোগ্রামটা করছি। এই প্রোগ্রামে আমাদের বেশ কয়েকটা দাবি আছে। তবে, মূলত এক নম্বরে আছে UGC-র যে সপ্তম পে কমিশন যা ভারতবর্ষের সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়ে গেছে, বহু স্টেট ইউনিভার্সিটিতেও হয়ে গেছে, আমরা সেটা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এই পে কমিশন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা চাই শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে নির্বাচিত প্রতিনিধি আনা হোক। যা গত ২০১১ সালের পর থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে।"

এই দুটি প্রধান দাবির পাশাপাশি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, " যাঁরা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রয়েছেন তাঁদের একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো করা হোক। এর সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের যে জনবিরোধী শিক্ষানীতি তার বিরুদ্ধেও এই অবস্থান।"

কেন্দ্র ও রাজ্যের জনবিরোধী শিক্ষানীতি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "যেমন শিক্ষার বেসরকারিকরণ। এখন দেখা যাচ্ছে জিও ইনস্টিটিউটকে ইন্সটিটিউট অফ এমিনেন্সের তকমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। অথচ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেই লিস্টে থাকা সত্ত্বেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও পর্যন্ত ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সের তকমা দেওয়া হয়নি। গবেষণা খাতে দিনের পর দিন টাকা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় সরকার এটা করছে, রাজ্য সরকারও অন্যদিকে প্রায় একই রকমভাবে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি ও ইনস্টিটিউটগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাগুলোকে পুরো ভেঙে দিয়েছে। দুটো জায়গাতেই দুই সরকার আক্রমণ করছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের আজকের এই অবস্থান।"

প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশন চালুর দাবিতে গত বছরই শিক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তরফ থেকে। উপাচার্য এলে তাঁর সঙ্গে মূলত এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল ও কোর্ট কমিটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি আনার বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়।

Intro:কলকাতা, ১৩ মার্চ: রিলে অনশন থেকে টানা অনশন। সেইটা না অনশনের আজ তিনদিন। অথচ, দাবি পূরণ তো দূরস্থান। দাবি নিয়ে আর কোনো আলোচনাই হয়নি সরকারের সঙ্গে‌। তাই এবার আন্দোলনের নতুন পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল ধর্মতলায় অনশনরত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC চাকরিপ্রার্থীরা। তা‍ঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের পাশাপাশি তারাও নিজেদের দাবির প্রচার করবেন। এই প্রচার কর্মসূচিতে লিফ্টলেট বিলি থেকে, নির্বাচনী প্রচারের পোষ্টারের পাশে তাঁদের আন্দোলনের পোষ্টার লাগানোর মতো পদক্ষেপ থাকবে।


Body:গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন এই অনশনকারীরা। অনশনের কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি ও সমস্যার কথা জানান তাঁরা। তাঁদের সমস্যা ও দাবি শুনে মৌখিক আশ্বাস দিলেও লিখিত কোনও আশ্বাস দেননি শিক্ষামন্ত্রী। লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরই শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনশন না তুললে তিনি আর কোনও কথা বলবেন না। লিখিত আশ্বাস না পেয়ে অনশন তুলতে নারাজ প্রার্থীরা অনশন চালিয়ে যান। তাঁরা চান মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। কিন্তু, তারপরও মেলেনি কোনও সমাধান। ফলে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে রিলে অনশন থেকে টানা অনশন করার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। আজ সেই টানা অনশনের তৃতীয় দিন। আজকের পরিস্থিতি নিয়েয়অনশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব প্রদানকারী তানিয়া শেঠ বলেন, " অনশনের আজকে ১৪ দিন হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই টোটাল ৫২ জন অসুস্থ হয়েছেন এবং একটু আগেই আমাদের কাছে খবর এসে পৌঁছেছে যে, এখান থেকে একজন অসুস্থ হয়ে ছিলেন, তিনি বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন যে তাঁর ডেঙ্গু হয়ে গেছে। এই অনশন মঞ্চ থেকে তাঁর ডেঙ্গু হয়ে গেছে। এই সমস্ত পরিস্থিতি মিলিয়ে অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, খুবই খারাপ অবস্থায় আমরা রয়েছি। দিনের বেলায় খুব রোদ, যার জন্য সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। এবং বার বার করে বিভিন্ন জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।"

অনশন মঞ্চ থেকে কারও ডেঙ্গু তো কারও গর্ভপাত হচ্ছে। তবুও স্কুল সার্ভিস কমিশন বা শিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না অনশনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের আগামি পদক্ষেপ কী হবে? তানিয়া শেঠ বলেন, " আমাদের উদ্দেশ্য প্রথম থেকে একটাই ছিল, এখনও একটাই আছে। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত উঠব না। যেহেতু ভোটের নির্ঘণ্ট বেজে গেছে, ভোট শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা নির্বাচনের প্রচারের পাশে আমাদের প্রচারটাকেও জোর কদমে চালিয়ে যেতে চাইছি। এবং আরও বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছি যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের আন্দোলনটাকে আরও বেশি জোরালো বা জোরদার করা যায়।" এই প্রচার কিভাবে করার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে? তানিয়া বলেন, " আমরা বিভিন্ন লিফলেট বিলি করতে চাইছি। পোস্টারিং করতে চাইছি। এই ছয় বছরে আমাদের মধ্যে অনেক ক্যান্ডিডেট রয়েছেন যাঁরা সুইসাইড করেছেন এই নিয়োগের জন্য। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা স্মরণসভা করতে চাই। এইরকম বিভিন্নভাবে আমরা প্রচার করতে চাইছি।"


Conclusion:

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.