কলকাতা, 13 নভেম্বর : টিউশন ফি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায় আদালত নির্দেশ দেওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে 20 শতাংশ ফি মকুব করে সংশোধিত ফি কাঠামো জানিয়ে দিয়েছিল শহর কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুল। কিন্তু, হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল সংশোধিত ফি কাঠামো জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও বহু স্কুলই তাতে নন-অ্যাকাডেমিক ফি যোগ করেছেন, আবার অনেক স্কুল এখনও দেয়নি সংশোধিত ফি কাঠামো। এমনই অভিযোগ তুলে আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হল বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের সংগঠন ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন। নিজেদের দাবি জানিয়ে আজ মুখ্যসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুল এখনও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ফি কাঠামো ঠিক করেনি। যারা করেছে তাদের বেশিরভাগ নানাভাবে তা অমান্য করে অসহায় অভিভাবকদের আদালত প্রদত্ত ন্যায় পেতে দিচ্ছে না। হাইকোর্টের রায় আইনের সমতুল্য। অথচ, সেই রায়কে অমান্য করে বেসরকারি স্কুলগুলি রাজ্যে এক খারাপ নজির সৃষ্টি করছে। অসহায় অভিভাবকরা রাজ্য সরকারের দিকে তাকিয়ে। সরকারের উচিত স্কুলগুলোকে অবিলম্বে সম্পূর্ণ রূপে হাইকোর্টের রায়কে প্রয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া। এবং এই কোরোনা পরিস্থিতিতে অসহায় অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ানো।"
সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত 22টি স্কুলের নাম রয়েছে। যারা এখনও সংশোধিত ফি কাঠামো ঠিক করে অভিভাবকদের জানায়নি। তার মধ্যে শহর কলকাতার বিভিন্ন নামী বেসরকারি স্কুলের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলার ও কিছু স্কুল রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ জানান যে, স্কুল বন্ধ থাকাকালীন হাইকোর্ট কম্পিউটার ফি, স্মার্ট ক্লাস ফি, প্র্যাকটিক্যাল ফি নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, মিলেনিয়াস ফি এবং বাস ফিও নেওয়া যাবে না বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারাতলার একটি নামী বেসরকারি স্কুল তাদের সংশোধিত ফি কাঠামোয় এগুলি বাবদ ফি ধার্য করেছে। বেহালার দুটি বেসরকারি স্কুল আবার পরের শিক্ষাবর্ষে 20 শতাংশ ছাড় অ্যাডজাস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে। যা হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করছে বলে দাবি ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের। এই রকমই বহু স্কুল হয় নন-অ্যাকাডেমিক খাতে ফি দাবি করছে বা নতুন কোনও খাতে ফি চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এরাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি লঙ্ঘন করছে এই অভিযোগ জানিয়ে আজ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সহ ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের তিনজন প্রতিনিধি নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। মুখ্যসচিব বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও আজ জানান সুপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ফি নিয়ে আদালতের নির্দেশ মানেনি অনেক বেসরকারি স্কুল, মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ
কলকাতা, 13 নভেম্বর : টিউশন ফি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায় আদালত নির্দেশ দেওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে 20 শতাংশ ফি মকুব করে সংশোধিত ফি কাঠামো জানিয়ে দিয়েছিল শহর কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুল। কিন্তু, হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল সংশোধিত ফি কাঠামো জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও বহু স্কুলই তাতে নন-অ্যাকাডেমিক ফি যোগ করেছেন, আবার অনেক স্কুল এখনও দেয়নি সংশোধিত ফি কাঠামো। এমনই অভিযোগ তুলে আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হল বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের সংগঠন ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন। নিজেদের দাবি জানিয়ে আজ মুখ্যসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুল এখনও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ফি কাঠামো ঠিক করেনি। যারা করেছে তাদের বেশিরভাগ নানাভাবে তা অমান্য করে অসহায় অভিভাবকদের আদালত প্রদত্ত ন্যায় পেতে দিচ্ছে না। হাইকোর্টের রায় আইনের সমতুল্য। অথচ, সেই রায়কে অমান্য করে বেসরকারি স্কুলগুলি রাজ্যে এক খারাপ নজির সৃষ্টি করছে। অসহায় অভিভাবকরা রাজ্য সরকারের দিকে তাকিয়ে। সরকারের উচিত স্কুলগুলোকে অবিলম্বে সম্পূর্ণ রূপে হাইকোর্টের রায়কে প্রয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া। এবং এই কোরোনা পরিস্থিতিতে অসহায় অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ানো।"
সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত 22টি স্কুলের নাম রয়েছে। যারা এখনও সংশোধিত ফি কাঠামো ঠিক করে অভিভাবকদের জানায়নি। তার মধ্যে শহর কলকাতার বিভিন্ন নামী বেসরকারি স্কুলের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলার ও কিছু স্কুল রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ জানান যে, স্কুল বন্ধ থাকাকালীন হাইকোর্ট কম্পিউটার ফি, স্মার্ট ক্লাস ফি, প্র্যাকটিক্যাল ফি নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, মিলেনিয়াস ফি এবং বাস ফিও নেওয়া যাবে না বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারাতলার একটি নামী বেসরকারি স্কুল তাদের সংশোধিত ফি কাঠামোয় এগুলি বাবদ ফি ধার্য করেছে। বেহালার দুটি বেসরকারি স্কুল আবার পরের শিক্ষাবর্ষে 20 শতাংশ ছাড় অ্যাডজাস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে। যা হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করছে বলে দাবি ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের। এই রকমই বহু স্কুল হয় নন-অ্যাকাডেমিক খাতে ফি দাবি করছে বা নতুন কোনও খাতে ফি চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এরাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি লঙ্ঘন করছে এই অভিযোগ জানিয়ে আজ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সহ ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের তিনজন প্রতিনিধি নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। মুখ্যসচিব বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও আজ জানান সুপ্রিয় ভট্টাচার্য।