কলকাতা, 6 জানুয়ারি: চিঠির পালটা চিঠি ৷ ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? তারই উত্তর দিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। তবে উত্তরের পর মুহূর্তেই রাজভবন থেকে ফের এল চিঠি। সেই চিঠিতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আচার্য। ফলে ফের সংঘাতে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগেই উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে। যা নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছিল। তারপর উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি চিঠি আসে, যেখানে বলা হয়; সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বুদ্ধদেব সাউ-ই বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁর নেতৃত্বেই হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। কিন্তু সমাবর্তন অনুষ্ঠান কেটে গেলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? এই প্রশ্নের সুরাহা মিলছিল না।
যার ফলে রেজিস্ট্রারের কাছেও চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। শিক্ষক সংগঠনের ওই চিঠি রেজিস্ট্রার পাওয়ার পর তা পাঠানো হয়েছিল বিকাশ ভবনে। এরপর উচ্চ শিক্ষা দফতর কী নির্দেশ দেয়, তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে শুক্রবার দফতর থেকে চিঠি আসে। উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছর 23 ডিসেম্বর যে চিঠি দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিল তাই বহাল থাকছে। অর্থাৎ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বুদ্ধদেব সাউ।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উল্লেখের ঠিক পরমুহূর্তেই রাজভবন থেকে একটি চিঠি আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে বলা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে। উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষমতা উচ্চ শিক্ষা দফতরের নেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে আচার্যের। ফলে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় চলে তাহলে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রেজিস্ট্রারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন।
আরও পড়ুন: