বউবাজার, 11 অগস্ট: ফের আগুনের গ্রাসে কলকাতার একটি রাসায়নিক গুদাম। গত মাসে বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর এবার ঘটনাস্থল বউবাজার । শুক্রবার সকালবেলা বউবাজারের একটি রাসায়নিক গুদাম ঘরে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন । তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে এবং সেখান থেকে বের করতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় দমকল কর্মীদের ।
ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওই গুদামে । সকালে এই আগুনের ঘটনায় বউবাজারের মতো জনবহুল জায়গায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায় । পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পরে গোটা এলাকাজুড়ে । দমকলকর্মীরা, ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুনের উৎসস্থলে ঢোকার চেষ্টা করেন । তবে গুদাম ঘরে অত্যাধিক পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্য মজুত থাকার ফলে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা গুদামঘরকে কার্যত গ্রাস করে ফেলে ।
পরে অবশ্য দমকলকর্মীরা আগুনের উৎসস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন । দমকল সূত্রে খবর, আগুন আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে । যদিও আগুনের লেলিহান শিখায় কারখানার একাংশের দেওয়াল কার্যত হেলে পড়েছে। বর্তমানে পকেট ফায়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন কারখানাটিতে কুলিং প্রসেস চলছে । তবে সংশ্লিষ্ট কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা এবং ফায়ার সিস্টেম যথাযথভাবে ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন দমকল আধিকারিকরা । গোটা কারখানার ফায়ার সেফটি সিস্টেম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর স্থানীয় থানাকে দমকলের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট দেওয়া হবে ।
এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই যদি সংশ্লিষ্ট কারখানায় ফায়ার সেফটি সিস্টেমে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয় সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে দমকল সূত্রে খবর। গত মাসেই বড়বাজারে একটি গুদাম ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে । বারংবার মধ্য কলকাতার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে এই সকল কারখানার বা গুদাম ঘরের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে ইডেনের সাজঘরে আগুন, পুড়ে গেল খেলোয়াড়দের জিনিসপত্র