কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: কৃপাময় ঘোষকে তলব করল সিবিআই । গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷ সেই কারণে আগামী বুধবার তাঁকে তলব করা হয়েছে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে ৷
কেন তাঁকে তলব করা হল ? সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগ থাকতে পারে ৷ সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই তাঁকে ডাকা হয়েছে ৷ এর আগে তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ৷
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে পুলিশি নিরাপত্তায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নয়াদিল্লি নিয়ে যায় ৷ আসানসোল থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে একবার থেমেছিল অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া সেই কনভয় ৷ রাস্তার পাশের দোকানে বসে খেতে দেখা গিয়েছিলেন বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে ৷
সেই সময়ই দু’জনকে অনুব্রতর সঙ্গে এক টেবিলে বসে খেতে দেখা গিয়েছিল ৷ সেই দু’জনের একজন ছিলেন কৃপাময় ঘোষ৷ যাঁর পরনে ছিল সবুজ রংয়ের পাঞ্জাবি ৷ তখনই রহস্য ঘনিয়েছিল যে কে এই কৃপাময় ঘোষ ? পরে জানা যায়, তিনি বীরভূমে তৃণমূলের যুবনেতা ৷ এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলকে যখন আদালতে তোলা হয়, তখনও কৃপাময় ঘোষকে আদালত চত্বরে একাধিকবার দেখা গিয়েছিল ।
সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে থাকাকালীন ইডি নয়াদিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল ৷ আদালতের নির্দেশে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছিল ৷ তার পরও কীভাবে কৃপাময় ঢুকে পড়ল সেই নিরাপত্তা বলয়ে ? কীভাবে অনুব্রতর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ পেল ? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজছেন তদন্তকারীরা আধিকারিকরা ৷ এই বিষয়টিও কৃপাময়ের থেকে তদন্তকারীরা জানবেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: জেলে থেকে একবছরে শুকিয়ে কাঠ স্থুলকায় কেষ্ট
উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় গত বছরের 11 অগস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল ৷ প্রথমে তিনি ছিলেন সিবিআই হেফাজতে ৷ তার পর চলে যান জেল হেফাজতে ৷ সেখানে থাকাকালীনই তাঁকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি জোগাড় করে ফেলে ইডি ৷ কিন্তু দীর্ঘ টালবাহানার পর গত মার্চে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় ৷ এখন তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের ওই দাপুটে নেতা ৷ পরে তাঁর মেয়েকেও ইডি গ্রেফতার করে ৷ তিনিও এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন ৷