ETV Bharat / state

আজ দুপুরের মধ্যে আছড়ে পড়বে আমফান

author img

By

Published : May 20, 2020, 9:41 AM IST

Updated : May 20, 2020, 12:53 PM IST

Amphan
আমফান

আজ দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে দিয়ে পথ তৈরি করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে আমফান । সকাল সাড়ে 11 টায় দিঘা থেকে 125 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এই ঘূর্ণিঝড় ।

কলকাতা, 20 মে : দুর্বল হয়েছে সুপার সাইক্লোন আমফান । কিন্তু তারপরও প্রবল বেগে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড় । আজ দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে দিয়ে পথ তৈরি করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে আমফান । সকাল সাড়ে 11 টায় দিঘা থেকে 125 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এই ঘূর্ণিঝড় ।

গতকাল সন্ধে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে । আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে । আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার অবনতি হবে । দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে । পাশাপাশি উপকূলের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ।

গত ছয় ঘণ্টা ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রতি ঘণ্টায় 14 কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান । যার জেরে সমুদ্র উপকূলে 170 থেকে 180 কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে শুরু করেছে । হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে প্রতি ঘণ্টায় 200 কিলোমিটার ।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনেরাল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, "1999-র ওড়িশা সাইক্লোনের পর আমফান প্রথম সুপার সাইক্লোন । এই ঘূর্ণিঝড়ে আমরা প্রচুর পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা করছি ।" সোমবার আমফানকে সুপার সাইক্লোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । তবে, বর্তমানে তা নিজের শক্তি কমিয়েছে । তাই আমফান অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়বে ।

পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে NDRF-এর 19 টি দল মোতায়েন করা হয়েছে । তাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনগুলি উপকূলবর্তী জেলা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে । ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে 3 লাখ মানুষকে সরিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার । এই 3 লাখের মধ্যে 67 শতাংশ দক্ষিণ 24 পরগনা এলাকার মানুষ । বাকি মানুষ উত্তর 24 পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের । এঁদের সুরক্ষিত রাখতে স্কুল ও পঞ্চায়েত ভবনগুলিতে শিবিরের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসনগুলি ।

NDRF-এর প্রধান এস এন প্রধান বলেন, "এই প্রথম একই সময়ে আমরা দুটি বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করছি । কোরোনার সংক্রমণের সময় এই ঘূর্ণিঝড় আসায় আমরা দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি ।" পাশাপাশি তিনি জানান, কোরোনার কথা মাথায় রেখে শিবিরগুলিতে 1 হাজার মানুষের পরিবর্তে 500 জন করে রাখা হচ্ছে ।

Last Updated :May 20, 2020, 12:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.