জলপাইগুড়ি, 24 জুন: আগরতলা থেকে এবার কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র 10 ঘন্টা। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবে হতে চলেছে। সৌজন্যে ভারতীয় রেল। ভারত ও বাংলাদেশের আখাউরা পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করছে ভারত সরকার। আর তাতেই কেল্লা ফতে। আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা হয়ে রেলপথে যাতায়াতের ফলে কমবে কলকাতার দূরত্ব। 31 ঘন্টার যাত্রাপথ হবে মাত্র 10 ঘন্টার। ভারত ও বাংলাদেশের আখাউরা রেলপথ বিস্তারের কাজ প্রায় শেষের পথে। বাড়তি টাকাও বরাদ্দ করে দিয়েছে রেল দফতর।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের আগরতলা থেকে আখাউরা বাংলাদেশ রুটে রেলপথ বিস্তারের প্রতিশ্রুতি রেলমন্ত্রক থেকে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। রেলপথের জন্য ভারত সরকার অতিরিক্ত 153 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর 'অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি' ও 'নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি' দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় রেল প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রেলওয়ে লাইন প্রকল্প কার্যকর করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক সংযোগী রেল লাইন প্রকল্প, ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউরা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনকারী রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় অংশের কাজ শেষ করার জন্য প্রত্যাশিত ব্যয় 862.58 কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত 708.74 কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বরাদ্দ 153.84 কোটি টাকা এই খাতে এখনও বাকি রয়েছে ৷ 15.064 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেলওয়ে লাইনটি ভারতের দিকে 5.05 কিলোমিটার এবং 10.014 কিলোমিটার বাংলাদেশের দিকে তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরাকে সংযুক্ত করবে এই রেলপথ।
আরও পড়ুন: করোনা ভয় অতীত, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ত্রিপুরায় খুলল সীমান্ত হাট
শুধু তাই নয়, এই রেল প্রকল্পটিতে 1টি মেজর ব্রিজ ও 3টি মাইনোর ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে । নতুন রেল প্রকল্পটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে, যা সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্রমাপের শিল্পের বিকাশে সাহায্য করার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পণ্যসামগ্রীর আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানও, দাবি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের ৷