ETV Bharat / state

Ankur Das Allegation: সুশান্ত রায়ের তথ্য জানতে চেয়েও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ অঙ্কুর

author img

By

Published : Feb 6, 2023, 9:34 PM IST

Updated : Feb 6, 2023, 9:48 PM IST

Ankur Das
অঙ্কুর দাস

তিন বছর ধরে সুশান্ত রায়ের তথ্য জানতে চেয়েও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ হন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস ৷

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ অঙ্কুর

জলপাইগুড়ি, 6 ফেব্রুয়ারি: জেলা হাসপাতালের চোখের ডাক্তার সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্বাস্থ্য দফতরের কার্যকলাপ নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস ৷ তথ্য জানার আইনে তথ্য না-পেয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ হলেন অঙ্কুর । যার নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির আম্বুলেন্স কাণ্ডে ৷ সেই ঘটনায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন ৷

অঙ্কুর সোমবার অভিযোগ করেন, জেলা হাসপাতালের চোখের ডাক্তার সুশান্ত রায়ের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু তার উত্তর এখনও দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর । তথ্য জানার অধিকার আইনে 27 জানুয়ারি 2020 সালে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে সুশান্ত রায়ের তথ্য জানার আবেদন করেছিলেন অঙ্কুর বলে দাবি তাঁর ৷ কিন্তু সেই উত্তর তিনি এখনও পাননি বলে এদিন অঙ্কুর অভিযোগ করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে । 12 তারিখের মধ্যে উত্তর না-পেলে কলকাতা হাইকোর্টের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন অঙ্কুর।

জানা গিয়েছে, তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও সুশান্ত রায়ের তথ্য পাননি 7 জন আবেদনকারী । সরকারি আইন অনুযায়ী তথ্য জানার অধিকার আইনে তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক । কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বলে অভিযোগ অঙ্কুর দাসের । যদিও জানা গিয়েছে, 3 ফেব্রুয়ারি 2020 তারিখে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা হাসপাতালের সুপারকে তথ্য জানার অধিকার আইনে 7 জন আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে ইতিমধ্যে গ্রিন জলপাইগুড়ি সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । এ দিন সেই চিঠির উত্তর দিতেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে আসেন অঙ্কুর দাস ৷ সোমবার চিঠির উত্তর দিতে এসে তাঁর দাবি, আম্বুলেন্স কাণ্ডে স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন বলেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ আর তাই তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে ।

এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অঙ্কুর দাস জানান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে একটা 'হাস্যকর' তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সেটার উত্তর দিতেই তিনি আজ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে এসেছিলেন । মুখ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়াই গ্রিন জলপাইগুড়ি অফিসে ইসিজি ও ল্যাবরেটরি চালানো হচ্ছে । কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি অঙ্কুরের ।

তিনি বলেন, "কারণ আমরা কোন ল্যাবরেটরি চালাই না । ফলে আমাদের লাইসেন্সের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই । আমরা দুঃস্থ মানুষদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ল্যাব থেকে পরীক্ষানিরিক্ষা করিয়ে দিই মাত্র । তাই আমরা লিখিতভাবে তার উত্তর দিয়েছি । মজার বিষয় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে আমার অফিসের দুরত্ব এক কিলোমিটারও না । সরকারি চিঠি 19 জানুয়ারি ইস্যু করা হয়েছিল । সেই চিঠি আমরা পেয়েছি 2 ফেব্রুয়ারি । আমাদের বলা হয়েছিল সাত দিনের মধ্যে উত্তর দিতে । আমাদের পাওয়ার আগেই সরকারি চিঠি সংবাদমাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"

এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক অসীম হালদার বলেন, "আরটিএ নিয়ে কে কী তথ্য পাচ্ছে না, আমি বলতে পারব না ৷ কারণ তিন বছর আগে আমি সিএমওএইচ ছিলাম না ৷ আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল গ্রিন জলপাইগুড়ি ইসিজি আর ল্যাব চালাচ্ছিল। আমরা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম । আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তারা এমন ল্যাব চালায় না । অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে পরিষেবা দেয়।"

আরও পড়ুন: 13 পাতার অভিযোগ ! ডাক্তার সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে ইডির দ্বারস্থ অঙ্কুর

Last Updated :Feb 6, 2023, 9:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.