কোন্নগর, 15 এপ্রিল : হাইকোর্টের নির্দেশে দখল করা ফেরিঘাট ফিরিয়ে দেওয়া হল । দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কোন্নগর পানিহাটি ফেরিঘাট পৌরসভার লিজ়ের মাধ্যমে চালাচ্ছিল । হুগলি জেলা শাসকের রিপোর্টের পরই কোর্ট নির্দেশ দেয় ৷ তারপর কোন্নগর রিষড়া ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে ফেরিঘাটের ইজারা ফিরিয়ে দেওয়া হয় ।
অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জোর করে এই ফেরিঘাট নিয়ে নেওয়া হয়েছিল । তবে, এবিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ফেরিঘাটের কর্মীরা বকেয়া টাকা না পাওয়ায় তাঁদের সরিয়ে কর্মচারীরা চালাচ্ছিল । এর সঙ্গে পৌরসভার কোনও সম্পর্ক নেই । অ্যাসোসিয়েশন 2012 সালের মে মাসের 10 তারিখে ভূতল পরিবহন নিগমের কাছ থেকে কোন্নগর ফেরিঘাট লিজ় নেয় ।
অভিযোগ, প্রায় তিন বছর চালানোর পর ঘাট জবর দখল করে নেয় পৌরসভা । পৌরসভা নতুন করে লিজ় ডাকে 2015 সালের জানুয়ারি মাসের 21 তারিখে । এক সংস্থা লিজ় পায় । 2015 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের 19 তারিখে ঘাট দখল নেয় তারা । অভিযোগ, কোন্নগর ফেরিঘাট নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছিল কোন্নগর পৌরসভা ।
সোসাইটির সদস্য শেখ হাফিজ়উদ্দিনের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৷ মারধর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় । ঘাট ফিরে পেতে হাইকোর্টে মামলা করে সোসাইটি । কোর্ট পৌরসভাকে নির্দেশ দেয় ঘাটের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে । কিন্তু পৌরসভার চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় তা মানেননি বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন, 3 দিনে কুম্ভে করোনা আক্রান্ত 1300, তবে কাটছাঁট হচ্ছে না মেলায়
ঘাটের দখল ফিরে পেতে আবার হাইকোর্টে যায় অ্যাসোসিয়েশন । কোর্টের নির্দেশ না মানায় প্রকৃত তথ্য তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলে জেলা শাসককে । হুগলির তৎকালীন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও কোন্নগর ফেরিঘাটে তদন্তে যান । সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখেন । চেয়ারপারসন বাপ্পাদিত্যর সঙ্গে কথা বলেন ৷ জানুয়ারি মাসের 13 তারিখে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রিপোর্ট জমা দেন জেলাশাসক ।
হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অবৈধভাবে আগের লিজ়কে সরিয়ে নতুন লিজ় দেওয়া হয়েছিল । তাই সোসাইটিকে তাদের ঘাট ফিরিয়ে দিতে হবে । সেই মতো বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোসাইটির হাতে কোন্নগর পানিহাটি ফেরিঘাট ফিরিয়ে দেওয়া হয় ।
শেখ হাফিজ়উদ্দিন বলেন, " লড়াই করে ঘাটের ইজারা ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে । আর ভাল লাগছে আদালতের উপর বিশ্বাস রাখতে পেরে । কোনও ভুল করিনি । পুরানো যারা আছে, এখন তাদের নিয়েই ঘাট চলবে । পরে সোসাইটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । কর্মীদের পিএফ, ইএসআই নিয়েও ভাবতে হবে । সবাই যাতে ভালভাবে কাজ করে সেদিকে নজর রাখতে হবে ৷"