কোচবিহার, 11 ফেব্রুয়ারি: এক পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে । শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা হাসপাতালে। পুলিশকর্মীর অভিযোগ, এক রোগীকে দেখতে এসে সুপারের হাতে নিগৃহীত হন তিনি। বিনা প্ররোচনায় তাঁকে হাসপাতাল সুপার ঘুষি মেরেছেন (police injured in Mathabhanga) ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হাসপাতাল সুপার মাসুদ হাসান । জানা গিয়েছে, শনিবার মাথাভাঙা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে আসেন দিনহাটা থানায় কর্মরত হোমগার্ড আবু সালেম । তিনি নিশিগঞ্জের বাসিন্দা । মাথাভাঙায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় ডিউটির জন্য তিনি দিনহাটা থেকে মাথাভাঙায় এসেছেন। তার মাঝেই হাতে একটু সময় নিয়ে হাসপাতালে ভরতি থাকা এক আত্মীয়কে দেখতে যান তিনি (police beaten by Hospital Super at Mathabhanga)।
আবু সালেমের অভিযোগ, "মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামিকে দেখতে গেলে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে গেটে আটকে দেয় । সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাসপাতাল সুপার আমাকে ঘুষি মারেন । আমার মাথার আঘাত লাগে । পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে আমি ডিউটিতে চলে যাই ।" তবে এই বিষয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করবেন কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি নিগৃহীত ওই পুলিশকর্মী আবু সালেম ৷ বিষয়টি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে জানিয়েছেন তিনি (attack on police in Cooch Behar) ৷
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধি হয়েও শিকড় ভুলতে নারাজ, সবজি বিক্রি করছেন চন্দ্রকোনার কাউন্সিলর
যদিও মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল সুপার মাসুদ হাসান ঘুষি মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, "ওই ব্যক্তি হাসপাতালের গেটে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা উপেক্ষা করে যখন জোর করে হাসপাতালে ঢুকতে যাচ্ছিলেন ৷ রোগীর নামও তিনি বলতে পারেননি ৷ তখন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি । কোনও ঘুষি মারিনি ।" মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মন অবশ্য জানিয়েছেন বিষয়টি তাঁর জানা নেই ৷