ETV Bharat / sports

সুতীর্থার অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে খুশি সৌম্যদীপ-পৌলমী

author img

By

Published : Mar 19, 2021, 10:13 PM IST

সুতীর্থার অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে খুশি সৌম্যদীপ-পৌলমী
সুতীর্থার অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে খুশি সৌম্যদীপ-পৌলমী

সিডনিতে পৌলমী ঘটক, এথেন্সে মৌমা দাস, লন্ডনে অঙ্কিতা দাসের পরে এবার টোকিওতে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ৷ অলিম্পিকের আসরে বাঙালি প্যাডলারের উপস্থিতি । তারকা প্যাডলার স্বামী-স্ত্রী সৌম্যদীপ-পৌলমী সুতীর্থার অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে খুশি ।

কলকাতা, 19 মার্চ : সিডনিতে পৌলমী ঘটক, এথেন্সে মৌমা দাস, লন্ডনে অঙ্কিতা দাসের পরে এবার টোকিওতে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ৷ অলিম্পিকের আসরে বাঙালি প্যাডলারের উপস্থিতি । মণিকা বাত্রাকে হারিয়ে টোকিওর বিমানের পাস যোগাড় করে ফেললেন নৈহাটির বাঙালি টেবিল টেনিস তারকা । বাংলার খেলোয়াড় হলেও সুতীর্থা এখন হরিয়ানার হয়ে খেলেন । মিহির ঘোষের কোচিংয়ে জাতীয় স্তরে আত্মপ্রকাশ করলেও গত পাঁচবছর ধরে সৌম্যদীপ রায়ের কোচিংয়ে খেলছেন তিনি । তাঁর (সৌম্যদীপ) অ্যাকাডেমিতে খেলা ছাড়ার পরে যোগ দিয়েছেন পৌলমী ঘটক । তারকা প্যাডলার স্বামী-স্ত্রী সুতীর্থার অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে খুশি ।

ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে সুতীর্থার সঙ্গেই রয়েছেন সৌম্যদীপ । বায়োবাবলের কঠিন সময়ের মধ্যে থেকে মণিকা বাত্রার চ্যালেঞ্জ সামলে অলিম্পিকে নৈহাটির মেয়ে । "এটা আমাদের কোচিং জীবনের সেরা মুহূর্ত । সৌম্যদীপ নিজে একচুলের জন্য অলিম্পিকে খেলতে পারেনি । সেই আক্ষেপটা ছিল । এবার ছাত্রীর মধ্যে দিয়ে সেই অভাব ঢাকল । প্রতিটি ম্যাচের আগে হোয়াটসঅ্যাপ করে পরামর্শ নিয়েছিলেন সুতীর্থা। একটা মানসিক চাপ সামলে এই জয়। সত্যিই আনন্দের," বলছিলেন পৌলমী ঘটক।

বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়, অলিম্পিয়ান পৌলমী আরও বলেছেন, "মণিকার সঙ্গে দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে সুতীর্থা এগিয়ে থাকে । তাই চাপ ছিল না । তবে আর্ন্তজাতিক মঞ্চে মণিকার সাফল্য বেশি । তাই চ্যালেঞ্জটা অন্যভাবে ছিল । সেটা সুতীর্থা দারুণ সামলেছেন । আসলে বাংলায় প্রতিভার অভাব নেই । অর্জুন ঘোষ, রণিত ভঞ্জরা দারুণ খেলোয়াড় । কিন্তু মানসিক ভাবে পিছিয়ে । জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে পাখির চোখ করে থাকে । সুতীর্থার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা ছিল । কিন্তু এই মানসিক ভাবে আটকে থাকার বিষয়টি কাটাতে গত পাঁচবছর ধরে নিয়মিত খেটে চলেছি ।তারপরেই এই রূপান্তর । এবার মিশন টোকিও ।" চারবছর আগে যখন দেশের একনম্বর খেলোয়াড় ছিলেন সুতীর্থা, তখন বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে নির্বাসিত হতে হয়েছিল । তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে অলিম্পিকের মঞ্চে ওঠা মোটেই সহজ ছিল না ।

ছোটবেলার কোচ মিহির ঘোষও সুতীর্থার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত । "একজন কোচ স্বপ্ন দেখে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা সেরা মঞ্চে পারফরম্যান্স করছে । সুতীর্থার সাফল্য সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন । তবে ওর সাফল্যের ভাগীদার শুধু আমি নই, ওর বর্তমান কোচ সৌম্যদীপকেও দিতে হবে । একটা সম্মেলিত প্রয়াসের ফল সুতীর্থা । তবে কোর্টে কিন্তু সুতীর্থা খেলেছে । তাই সেই চাপ সামলে পারফরম্যান্স করার কৃতিত্ব শুধুমাত্র খেলোয়াড়কেই দিতে হবে । একটা কথা বলি বাংলায় প্রতিভার অভাব নেই । পরিকাঠামার খামতি দূর করা গেলে আমাদের আরও বেশি অলিম্পিয়ান উঠে আসবে ।"

আরও পড়ুন : জামাইকায় ভ্যাকসিন পাঠানোয় মোদিকে ধন্যবাদ ইউনিভার্সাল বসের

কলকাতায় ফিরে টোকিওর প্রস্তুতি শুরু করবেন সুতীর্থা । তাঁর অলিম্পিকে যোগদানের খবর বাংলার টেবিল টেনিসের সেরা অক্সিজেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.