ETV Bharat / international

Israel-Hamas War: ইজরায়েলের পাশে থাকতে ভূমধ্যসাগর সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 18, 2023, 12:45 PM IST

Israel-Hamas War
Israel-Hamas War

US Marine Warships move toward Mediterranean: হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ ইজরায়েলের কাছাকাছি অঞ্চলে এবার তারা সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করতে শুরু করেছে ৷ ইতিমধ্যে একাধিক রণতরী ও যুদ্ধবিমান আশপাশের মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে পৌঁছেছে ৷ প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে বলে পেন্টাগনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে ৷

ওয়াশিংটন, 18 অক্টোবর: গত 7 অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে হামাস ৷ তার পর থেকে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়েছে ৷ সেই লড়াইয়ে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ এবার ইজরায়েলে রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করল মার্কিন প্রশাসন ৷ মঙ্গলবার মার্কিন সেনা, মার্কিন রণতরী ইজরায়েলের দিকে যাত্রা শুরু করে ৷ যদি প্রয়োজন হয় মার্কিন সেনাও হামাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে নেমে পড়বে ৷

ইতিমধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছে গিয়েছে একটি মার্কিন এয়ারক্রাফট ও স্ট্রাইক গ্রুপ ৷ আরও একটি সেই দিকে যাত্রা শুরু করেছে ৷ এছাড়া তিনটি সামুদ্রিক যুদ্ধজাহাজও যাত্রা শুরু করেছে ইজরায়েলের দিকে ৷ মধ্যপ্রাচ্যের চারপাশে যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেখানে প্রচুর বিমান পাঠানো শুরু হয়েছে ৷ ইতিমধ্য়ে ইজরায়েলকে গোয়েন্দা সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে ৷ কারণ, হামাসের পক্ষ নিয়ে ইতিমধ্যে ইরান, লেবানন ও হিজবুল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলের উপর পালটা হামলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ৷ তাদের আক্রমণে ইজরায়েল যাতে কোণঠাসা হয়ে না পড়ে, সেই কারণে এই মার্কিন পদক্ষেপ ৷

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী অস্ত্র ও সাহায্য ইজরায়েলকে করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -

জাহাজ ও বিমান: ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে যে এই অঞ্চলে জাহাজটির মোতায়েনের মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷ তবে ঠিক কত তারিখ পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা হল, তা জানানো হয়নি ৷

তাছাড়া প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন সাম্প্রতি ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ফোর্ডে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সেই জাহাজগুলি এখন আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যাচ্ছে । মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে যে তারা ইউএসএস বাটান অ্যাম্ফিবিয়াস রেডি গ্রুপ পাঠাচ্ছে, যেটিতে 26তম মেরিন এক্সপিডিশনারি ইউনিট থেকে হাজার হাজার নৌসেনা বহনকারী তিনটি জাহাজ রয়েছে ৷

জাহাজগুলি হেলিকপ্টার ও অ্যাসল্ট ক্রাফট বহন করে, যা নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতিকূল অঞ্চলে প্রবেশ করাতে পারে বা চিকিৎসা সেবা বা অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে পারে । যুদ্ধজাহাজ, বিশেষ করে বিমানবাহী রণতরী তাদের ফাইটার জেট এবং নজরদারি বিমান, ঐতিহাসিকভাবে ইরানী এবং মধ্যপ্রাচ্যে অন্যান্য জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে ।

জাহাজগুলি এফ-18 ফাইটার জেট বহনে সক্ষম৷ এই ফাইটার জেট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে । তাদের কাছে ই-2 হকআই নজরদারি প্লেনও রয়েছে, যা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রাথমিক সতর্কতা প্রদান করতে পারে ও শত্রুর গতিবিধি সনাক্ত করতে পারে ।

অস্ত্র ও স্পেশাল অপারেশন ফোর্সেস: মার্কিন অস্ত্র বোঝাই বিমান ইতিমধ্যেই ইজরায়েলে আসতে শুরু করেছে । শুক্রবার গাজার পূর্বদিকে নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে তা দেখা গিয়েছে ৷ পেন্টাগন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে এমন পাঁচটি বিমান এসে পৌঁছেছে ৷ আরও পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের দেশের প্রশাসন ইতিমধ্যে ইজরায়েলকে আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ছোট ব্যাসের বোমা, অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র এবং ইন্টারসেপ্টর মিসাইল দিয়েছে ৷ আরও কিছু আসবে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলিকে ইজরায়েলের অস্ত্র অর্ডারগুলিকে ত্বরান্বিত করার জন্যও বলেছে ৷

এয়ারফোর্স ওয়ারপ্লেনস: পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ঘাঁটিগুলিতে এ-10, এফ-15 এবং এফ-16 স্কোয়াড্রনগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য অতিরিক্ত যুদ্ধ বিমান পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে । প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে । মার্কিন বিমানবাহিনীর ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে সেনা দিয়ে বা সেনা ছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য উল্লেখযোগ্য বিমানশক্তি রয়েছে ৷ উল্লেখ্য, সিরিয়ায় একটি এফ-16 গত সপ্তাহে একটি তুর্কি ড্রোনকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ কারণ, সেটি মার্কিন স্থল বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল ।

আরও সেনা প্রস্তুত হচ্ছে: প্রায় দু’হাজার মার্কিন বাহিনীকে আগামিদিনে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে । পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ইউনিটগুলো এখনও শনাক্ত করা যায়নি । সৈন্যরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবে, বিশেষ করে গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি, পরিবহণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করতে । দু’হাজার সৈন্যের মধ্যে অতিরিক্ত বিমান বাহিনী এবং সেনা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে ।

আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা! শর্তসাপেক্ষে বন্দিদের মুক্তি দিতে আগ্রহী হামাস

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.