ETV Bharat / city

সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিটিশ আমলের সিন্দুক থেকে পাওয়া গেল ঐতিহাসিক নথিপত্র

author img

By

Published : Nov 29, 2019, 11:17 PM IST

Updated : Nov 29, 2019, 11:50 PM IST

sanskrit college
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়

সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। যেমন, বিভিন্ন ডিক্লারেশন অফ অ্যাসেটস । কেউ হয়ত কোনও সম্পত্তি দান করেছেন বা অর্জিত সম্পত্তি আছে, অনেক সূত্রেই পাওয়া সম্পত্তির হিসেব পাচ্ছি 1830 থেকে 1956 সাল পর্যন্ত । একটা মেডেল পাওয়া গেছে 100 বছর পুরানো । সংস্কৃত কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে যৌথভাবে যে সংস্কৃতে প্রথম হত তাঁকে এই মেডেল দেওয়া হত ।"

কলকাতা, 29 নভেম্বর : আজ সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হল 200 বছর পুরানো একটি সিন্দুক। যেখান থেকে পাওয়া গেছে বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক নথিপত্র । 1830 সাল থেকে 1956 সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সম্পত্তির নথি, 1919 সালের মেডেলের মতো ঐতিহাসিক জিনিস মিলেছে সিন্দুক ভেঙে । বিধবা ভাতার নথি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারের মতো দুষ্প্রাপ্য নথিও মিলেছে প্রাচীন ওই সিন্দুক থেকে । সব মিলিয়ে আজ এখানে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় শুরু হল বলে মনে করছেন সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

পুজোর পরেই উপাচার্য হয়ে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এসেছেন সোমা বন্দোপাধ্যায় । তাঁর নজরে আসে গুদামঘরে পড়ে থাকা এই ব্রিটিশ আমলের সিন্দুকটি । উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার ইতিহাসও একটা বিষয় ছিল । আমি নিজে ভাষা সাহিত্যের একজন অধ্যাপিকা । রাজ্য সরকার যখন সংস্কৃত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার পদক্ষেপ নিল তখন একটি এক সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল । সেই কমিটি রিপোর্ট দেয় । যেখানে বলা হয়েছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য একটা আর্কাইভ করার কথা । আমি দেখলাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কিছু ব্যবহৃত নথিপত্র আছে, আবার কিছু এমন নথিপত্র আছে যেগুলো সংরক্ষিত হচ্ছে না । আমার তখনই মাথায় এল একটা আর্কাইভ করার একদম ঠিক সময় । আমি তখন খুঁজতে শুরু করলাম। তখন জানতে পারলাম একটা ওয়াল সেফ আছে । সেই সেফটা কিছুকাল আগেও হয়ত ব্যবহার করা হত । সেই সেফ থেকে আমরা 85টি এনডাওমেন্ট ফান্ডের নথি পেলাম । তারপরে আমি খুঁজতে শুরু করলাম এখানে আর কী কী আছে । তখন দেখলাম একটা গুদামঘরে পড়ে রয়েছে এই সিন্দুকটা । তারপরেই এটা খোলার ব্যবস্থা করলাম । আমার মনে হল ওটার ভিতরে এমন কিছু নথি থাকতে পারে যেটা গবেষণার ক্ষেত্রে একটা অধ্যায় সৃষ্টি করবে । আমার সেই ধারণা সত্যি হল ।"

ভিডিয়োয় দেখুন সিন্দুক খোলার দৃশ্য

আজ এই সিন্দুকটি খুলতে অনেক সময় লেগেছে । সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, আজ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে এই সিন্দুকটি খুলতে। সিন্দুকটির জন্য কোনও চাবি খুঁজেও পাওয়া যায়নি । চাবি খেলানোর জন্য যিনি এসেছিলেন তিনি চাবি বানানোর চেষ্টা করেও সফল হননি । আর সিন্দুকটিরও ঐতিহাসিক মূল্য থাকায় সেটিকে ভাঙতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । অবশেষে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সিন্দুকটির দরজা খুলতে পারলেও সিন্দুকের ভিতরে থাকা সেফ খুলতে সমস্যা দেখা দেয় । তারপরে ছেনি দিয়ে খোলা হয় সেফটি । সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে সিন্দুকটা খুলতে। আমরা সেফটা ভাঙতে চাইছিলাম না । ওটাকেও তো ঐতিহাসিক দ্রব্য হিসেবে রাখা হবে । যে সিন্দুকটা পাওয়া গেছে সেটা বহু পুরানো । লন্ডনের CHUBB কম্পানির তৈরি করা এটা । ব্রিটিশ আমলের সিন্দুক।"


সিন্দুকটি খুলতেই দেখতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি খাম, মেডেল ও নথিপত্র । কী কী ছিল সেখানে?

সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। যেমন, বিভিন্ন ডিক্লারেশন অফ অ্যাসেটস । কেউ হয়ত কোনও সম্পত্তি দান করেছেন বা অর্জিত সম্পত্তি আছে, অনেক সূত্রেই পাওয়া সম্পত্তির হিসেব পাচ্ছি 1830 থেকে 1956 সাল পর্যন্ত । একটা মেডেল পাওয়া গেছে 100 বছর পুরানো । সংস্কৃত কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে যৌথভাবে যে সংস্কৃতে প্রথম হত তাঁকে এই মেডেল দেওয়া হত । 1919 সালের সেই মেডেলটা 100 বছর পর আমরা পেলাম ওই সিন্দুকটা খুলে । মহামহোপাধ্যায় উপাধি দেওয়া হত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও সেই উপাধি দেওয়া হয়েছিল । তাঁর স্বাক্ষর করা একটি রেজিস্টার পাওয়া গেছে । শুধু তিনি নন । অন্য বিখ্যাত ব্যক্তিদের স্বাক্ষরও রয়েছে সেই রেজিস্টারে ।"

পাওয়া গেছে বিধবা ভাতা দেওয়ার নথি সহ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সংক্রান্ত কিছু ঐতিহাসিক নথি । সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আরেকটা জিনিস পেয়েছি যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে একজন মহিলা হিসাবে সেটা হল বিধবা ভাতা দেওয়া হত 2 টাকা করে । তার মানে এটা যে শুধু এডুকেশনাল রিফর্মস হত এখান থেকে তা নয়, সামাজিক রিফর্মসও হত । একটা শিক্ষা সংস্থা থেকে এই বিধবা ভাতা দেওয়া, এটা একটা বিরাট বড় দৃষ্টান্ত । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবাদের জন্য অনেক রকম কাজ করেছিলেন । ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যাবে উনি অনেক বিধবাকে সাহায্য করেছিলেন । আমি যে কাগজটা পেয়েছি তাতে আটজন নিতেন । তাঁদের মধ্যে ছয়জন লিখতে জানতেন না । তাঁরা টিপসই দিয়ে নিতেন । বাকি দুজন লিখেছেন 'আমরা এই টাকা পাইলাম' । আর একটা অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার পেয়েছি । যেখানে 1829 সাল থেকে 1832 সাল পর্যন্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের । তিনি সেই সময় ছাত্র ছিলেন ।" 1956 পর্যন্ত বিভিন্ন স্কলারশিপ, ব্যাঙ্কে নথি পাওয়া গেছে সিন্দুকে ।

সিন্দুক থেকে পাওয়া এই সমস্ত নথি ও জিনিস দিয়ে একটি আর্কাইভ করার হবে বলে জানাচ্ছেন সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "গবেষণার দিক থেকে, ঐতিহাসিক দিক থেকে ও সামাজিক দিক থেকে এইসব নথির বিশাল গুরুত্ব আছে । এর বিশাল আর্কাইভ্যাল ভ্যালু । আমরা একটা আর্কাইভ করার পরিকল্পনা করছি যেখানে এই সমস্ত জিনিসগুলো প্রদর্শনী করা হবে। কারণ, গবেষণার জন্য এগুলো দরকার । তাঁর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এটা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বি-শতবর্ষ । তাই আমার মনে হয় এটা যদি করা যায় তাহলে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে। আজ বিরাট একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইলাম আমরা । ইতিহাসের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হল । কারণ, এগুলো সংরক্ষণ করা না হলে নষ্ট হয়ে যাবে ।"

Intro:কলকাতা, ২৯ নভেম্বর: আজ সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হল ২০০ বছর পুরনো একটি সিন্দুক। যেখান থেকে পাওয়া গেছে বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক নথিপত্র। ১৮৩০ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সম্পত্তির নথি, ১৯১৯ সালের মেডেলের মতো ঐতিহাসিক জিনিস মিলেছে সিন্দুক ভেঙে। বিধবা ভাতার নথি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারের মতো দুষ্প্রাপ্য নথিও মিলেছে প্রাচীন ওই সিন্দুক থেকে। সব মিলিয়ে আজ এখানে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় শুরু হল বলে মনে করছেন সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়।Body:পুজোর পরেই উপাচার্য হয়ে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এসেছেন সোমা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর নজরে আসে গুদামঘরে পড়ে থাকা এই ব্রিটিশ আমলের সিন্দুকটি। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার ইতিহাসও একটা বিষয় ছিল। আমি নিজে ভাষা সাহিত্যের একজন অধ্যাপিকা। রাজ্য সরকার যখন সংস্কৃত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার পদক্ষেপ নিল তখন একটি এক সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটি রিপোর্ট দেয়। যেখানে বলা হয়েছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য একটা আর্কাইভ করার কথা। আমি দেখলাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কিছু ব্যবহৃত নথিপত্র আছে, আবার কিছু এমন নথিপত্র আছে যেগুলো সংরক্ষিত হচ্ছে না। আমার তখনই মাথায় এলো একটা আর্কাইভ করার একদম ঠিক সময়। আমি তখন খুঁজতে শুরু করলাম। তখন জানতে পারলাম একটা ওয়াল সেফ আছে। সেই সেফটা কিছুকাল আগেও হয়তো ব্যবহার করা হতো। সেই সেফ থেকে আমরা ৮৫টা এনডাওমেন্ট ফান্ডের নথি পেলাম। তারপরে আমি খুঁজতে শুরু করলাম এখানে আর কী কী আছে। তখন দেখলাম একটা গুদামঘরে পড়ে রয়েছে এই সিন্দুকটা। তারপরেই এটা খোলার ব্যবস্থা করলাম। আমার মনে হল ওটার ভিতরে এমন কিছু নথি থাকতে পারে যেটা গবেষণার ক্ষেত্রে একটা অধ্যায় সৃষ্টি করবে। আমার সেই ধারণা সত্যি হল।"

আজ এই সিন্দুকটি খুলতে অনেক সময় লেগেছে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, আজ প্রায় পাঁচ ঘন্টা সময় লেগেছে এই সিন্দুকটি খুলতে। সিন্দুকটির জন্য কোনও চাবি খুঁজেও পাওয়া যায়নি। চাবি খেলানোর জন্য যিনি এসেছিলেন তিনি চাবি বানানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। আর সিন্দুকটিরও ঐতিহাসিক মূল্য থাকায় সেটিকে ভাঙতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় সিন্দুকটির দরজা খুলতে পারলেও সিন্দুকের ভিতরে থাকা সেফ খুলতে সমস্যা দেখা দেয়। তারপরে ছেনি দিয়ে খোলা হয় সেফটি। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পাঁচ ঘন্টা সময় লেগেছে সিন্দুকটা খুলতে। আমরা সেফটা ভাঙতে চাইছিলাম না। ওটাকেও তো ঐতিহাসিক দ্রব্য হিসেবে রাখা হবে। যে সিন্দুকটা পাওয়া গেছে সেটা বহু পুরনো। লন্ডনের CHUBB কোম্পানির তৈরি করা এটা। ব্রিটিশ আমলের সিন্দুক।"


সিন্দুকটি খুলতেই দেখতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি খাম, মেডেল ও নথিপত্র। কী কী ছিল সেখানে? সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। যেমন, বিভিন্ন ডিক্লারেশন অফ অ্যাসেটস। কেউ হয়তো কোনো সম্পত্তি দান করেছেন বা অর্জিত সম্পত্তি আছে, অনেক সূত্রেই পাওয়া সম্পত্তির হিসেব পাচ্ছি ১৮৩০ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। একটা মেডেল পাওয়া গেছে ১০০ বছর পুরনো। সংস্কৃত কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে যৌথভাবে যে সংস্কৃতে প্রথম হত তাঁকে এই মেডেল দেওয়া হতো। ১৯১৯ সালের সেই মেডেলটা ১০০ বছর পর আমরা পেলাম ওই সিন্দুকটা খুলে। মহামহোপাধ্যায় উপাধি দেওয়া হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও সেই উপাধি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সাক্ষর করা একটি রেজিস্টার পাওয়া গেছে। শুধু তিনি নন। অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাক্ষরও রয়েছে সেই রেজিস্টারে।"

পাওয়া গেছে বিধবা ভাতা দেওয়ার নথি সহ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সংক্রান্ত কিছু ঐতিহাসিক নথি। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আরেকটা জিনিস পেয়েছি যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে একজন মহিলা হিসাবে সেটা হল বিধবা ভাতা দেওয়া হতো ২ টাকা করে। তার মানে এটা যে শুধু এডুকেশনাল রিফর্মস হতো এখান থেকে তা নয়, সামাজিক রিফর্মসও হতো। একটা শিক্ষা সংস্থা থেকে এই বিধবা ভাতা দেওয়া, এটা একটা বিরাট বড়ো দৃষ্টান্ত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবাদের জন্য অনেক রকম কাজ করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে উনি অনেক বিধবাকে সাহায্য করেছিলেন। আমি যে কাগজটা পেয়েছি তাতে আটজন নিতেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন লিখতে জানতেন না। তাঁরা টিপসই দিয়ে নিতেন। বাকি দুজন লিখেছেন 'আমরা এই টাকা পাইলাম'। আর একটা অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার পেয়েছি। যেখানে ১৮২৯ সাল থেকে ১৮৩২ সাল পর্যন্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের। তিনি সেই সময় স্টুডেন্ট ছিলেন।" ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্কলারশিপ, ব্যাংকের নথি পাওয়া গেছে সিন্দুকে।

সিন্দুক থেকে পাওয়া এই সমস্ত নথি ও জিনিস দিয়ে একটি আর্কাইভ করার হবে বলে জানাচ্ছেন সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "গবেষণার দিক থেকে, ঐতিহাসিক দিক থেকে ও সামাজিক দিক থেকে এইসব নথির বিশাল গুরুত্ব আছে। এর বিশাল আর্কাইভ্যাল ভ্যালু। আমরা একটা আর্কাইভ করার পরিকল্পনা করছি যেখানে এই সমস্ত জিনিসগুলো প্রদর্শনী করা হবে। কারণ, গবেষণার জন্য এগুলো দরকার। তাঁর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এটা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বি-শতবর্ষ। তাই আমার মনে হয় এটা যদি করা যায় তাহলে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে। আজ বিরাট একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইলাম আমরা। ইতিহাসের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হল। কারণ, এগুলো সংরক্ষণ করা না হলে নষ্ট হয়ে যাবে।"

Conclusion:
Last Updated :Nov 29, 2019, 11:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.