বালুরঘাট, 21 এপ্রিল : তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোট লড়তে চাননি দেব । তাঁকে ঘাটাল থেকে লড়তে বাধ্য করা হয়েছে । আজ এই দাবি করেন BJP নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি । তিনি বলেন, "দেব ফেঁসে গেছে বেচারা । দেবকে আপনারা যাঁরা চেনেন তাঁরা তো জানেন দেবকে কাঁধে বন্দুক রেখে দাঁড় করানো হয়েছে ।"
রূপার অভিয়োগ, পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস করে জিতেছিল তৃণমূল । তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন । কারণ এবার মানুষ নিজেরা প্রতিরোধ করছেন । বিরোধী দলগুলি মনোনয়ন দিতে না পারায় তাঁর দল জিতেছে। মানে ক্লাসে একটা বাচ্চা । সেই ফার্স্ট হয়েছে । এটা নির্লজ্জতার চূড়ান্ত । সেই জয়কে তিনি যদি জয় মনে করেন, তাহলে তাঁর চিন্তাভাবনা ও সবকিছুর যোগ্যতা সন্দেহজনক । "
গতকাল বুনিয়াদপুরে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী সভা থেকে একাধিক ইশুতে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন । পরে কালিগঞ্জের সভা থেকে পালটা মোদিকে আক্রমণ করেন মমতা । সেখানে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রূপা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন । তিনি যদি তাঁর অভ্যস্ত ভাষায় কথা বলেন, তাহলে তিনি তা বাড়িতে বসেই দলের দুই-চারজন লোকের সামনে বলুন । সেটা তাঁর ব্যক্তিগত (রুচিবোধের) পরিচয় দেবে। কিন্তু, উনি তো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। না চাইলেও উনি আমারও মুখ্যমন্ত্রী । আমার এখানেই জন্ম। এখানেই বড় হওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর এরকম ভাষা শুনে রাজ্যের মানুষের যে অবনতি হচ্ছে তা আমরা মেনে নেব না। লোকসভা ভোটে মানুষ তার জবাব দেবে। কিন্তু, এমন কুরুচিকর শিক্ষা রাজ্যের মানুষকে দেওয়ার কোনও অধিকার আপনার নেই। যে রাজ্যে এখনও হিংসা করে ভোট করাতে হয়, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা রাখেন। ইচ্ছা রাখেন। দুঃস্বপ্ন হলেও স্বপ্ন রাখেন। কিন্তু, যে পদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তিনি নিজেই সেই পদটিকে সম্মান করেন না। তিনি যে সেই পদের যোগ্য নন, তাঁর রোজকার নর্দমা টাইপ ভাষায় বুঝিয়ে দেন। "
পাশাপাশি রূপার দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দিয়ে যুবকদের ভালো জীবনযাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন মমতা। রূপা বলেন, "নানারকম উর্দি পরে বিভিন্ন রকমভাবে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এই ব্যবহারের ফলে পুলিশের মধ্যে কি ক্ষোভ নেই ? পুলিশ রোজ গালি খাবে ? সব পুলিশ অফিসার কি খারাপ ? এটা মানতে বলবেন ? এই যে হাজার হাজার ছেলেকে নীল জামা পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার করে রেখেছেন। সিভিক ভলান্টিয়াররা কেন বীতশ্রদ্ধ? তাঁরা জানেন, সিভিকের কাজ করতে করতে একটা সময় ওদের বয়স পার হয়ে যাবে। তখন আর অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় বসা যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতে করতে যখন তাঁদের বয়স 35 বছর পেরিয়ে যাবে, তখন বুঝতে পারবেন তাঁদের সামনে আর কিছু নেই। আট হাজার টাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা চেঁটে থাকতে হবে। যাঁদের সিভিক ভলান্টিয়ার করে রাখা হচ্ছে, তাঁরা কি সেটা বুঝতে পারছেন না ? এটা খুব দুঃখজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ ব্যবস্থাটাকে নষ্ট করছেন।"