ETV Bharat / bharat

Child Sex Ratio: প্রযুক্তির অপব্যবহারে বাড়তে পারে লিঙ্গবৈষম্য, আশংকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 20, 2023, 5:45 PM IST

Mansukh Mandaviya on Child Sex Ratio: প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে লিঙ্গ নির্ধারণ বা ভ্রূণহত্য়া বাড়তে পারে ৷ এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য বৃদ্ধি পাবে৷ এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ৷

Child Sex Ratio
Child Sex Ratio

নয়াদিল্লি, 20 অক্টোবর: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে, তা লিঙ্গবৈষম্য তৈরি করতে পারে ৷ শুক্রবার এমনই উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ৷ তাই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে তিনি এই নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন ৷

গত বুধবার সেন্ট্রাল সুপারভাইজারি বোর্ড বা সিএসবির 29তম বৈঠক হয় ৷ ওই বৈঠকেও এই কথা জানান তিনি ৷ মেয়েরা যাতে লিঙ্গবৈষম্যের স্বীকার না হয়, সেই বিষয়ে দেশ অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও তিনি দাবি করেন ৷ ওই বৈঠকে দেশে শিশুদের লিঙ্গের অনুপাত ও জন্মের সময় লিঙ্গর অনুপাত নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেখানে লিঙ্গ নির্ধারণের মাধ্যমে ভ্রূণহত্য়ার বিষয়টি নিয়েও কথা হয় ৷

সেই বৈঠকে 2020 সালের স্য়াম্পেল রেজিস্ট্রেশন সার্ভে বা এসআরএস রিপোর্টের বিষয়ে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, লিঙ্গের অনুপাত 2017-18 সালে ছিল 904 ৷ 2018-20 সালে তা বেড়ে হয়েছে 907 ৷ এটাকে তিনি প্রশংসনীয় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন ৷

তিনি আরও জানান, 22টি রাজ্যে সমীক্ষা করা হয় ৷ এর মধ্যে 12টি রাজ্যে উন্নতি চোখে পড়েছে ৷ রাজ্যগুলি প্রি-ন্যাটাল ডায়াগনেস্টিক টেকনিকস (রেগুলেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ মিসইউজ) অ্যাক্ট 1994 ঠিকভাবে প্রয়োগ করায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের জন্য এই সাফল্য এসেছে বলে তাঁর দাবি ৷ এই বিষয়ে ভালো কাজের জন্য তিনি রাজস্থান, হরিয়ানা, তামিলনাড়ুর নামও উল্লেখ করেন ৷

ছেলে ও মেয়েদের জন্মের হারের পার্থক্য 2015 সালে পাঁচ পয়েন্ট ছিল ৷ 2020 সালে তা দু’পয়েন্ট কমে তিন পয়েন্ট হয়েছে ৷ অন্তত 10টি রাজ্য়ে এই কাজ ভালো হয়েছে বলে এসআরএস রিপোর্টে জানা গিয়েছে ৷ তার পরও আধুনিক প্রযুক্তি লিঙ্গবৈষম্য তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মনসুখ মাণ্ডব্য ৷ তিনি বলেন, "এই প্রযুক্তিগুলির ইতিবাচক চিকিৎসা প্রয়োগ সত্ত্বেও অপব্যবহার হতে পারে এবং লিঙ্গবৈষম্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে ৷"

এই বিষয়ে কেন্দ্রের কড়া আইন রয়েছে ৷ প্রয়োজনে সেই আইন প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, এই আইনের যাতে অপব্যবহার না হয় ৷ কোনও নির্দোষ চিকিৎসককে যেন হেনস্তা না করা হয় ৷ পরিসংখ্যান বলছে, 2023 সালের জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আইন ব্যবহার করে 3563টি মামলা নথিভুক্ত হয় ৷ 2015 সালের মার্চে এই পরিসংখ্যান ছিল 2048 ৷ এই সময়ের মধ্য়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা 271 থেকে বেড়ে 713 হয়েছে ৷ এর জেরে 145 জন চিকিৎসকের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে ৷

সংবাদসংস্থা - পিটিআই

আরও পড়ুন: ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অনুপাত বেশি, রিপোর্টে উঠে এল তথ্য

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.