নয়াদিল্লি, 23 মার্চ: বৃহস্পতিবারও অচল সংসদ ৷ এদিন নির্ধারিত সময় লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু শাসক ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে বেশিক্ষণ স্বাভাবিক কাজকর্ম চলা সম্ভব হয়নি ৷ ফলে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশনই মুলতুবি করে দেওয়া হয় ৷ আপাতত দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন ৷
গত 13 মার্চ সংসদে এবারের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হয় (Budget Session 2023) ৷ কিন্তু প্রথমদিন থেকেই অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ এবারের বাজেট অধিবেশেনর প্রথম ভাগ আদানি ইস্য়ুতে (Adani Controversy) উত্তপ্ত হয়েছিল ৷ আদানি বিতর্ক নিয়ে সরকার পক্ষকে চেপে ধরেছিল বিরোধীরা ৷ কিন্তু বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে সরকার পক্ষও পালটা চাপে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে বিরোধীদের ৷
বৃহস্পতিবারও পরিস্থিতি একই ছিল ৷ এদিনও লোকসভা শুরু হওয়ার পর ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে আবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে ৷ সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরাই হইচই শুরু করে দেয় ৷ কংগ্রেসের তরফে আবারও জানিয়ে দেওয়া হয় যে রাহুল গান্ধির ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই ৷ উলটে আদানি ইস্যুতে সরকার কেন বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি করছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদরা ৷
এই পরিস্থিতিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা দুপুর 2টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ার ঘোষণা করেন ৷ একই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও (Jagdeep Dhankhar) ৷ সংসদের উচ্চকক্ষেও রাহুল ও আদানি ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের বাকযুদ্ধ প্রবল আকার নিয়েছিল ৷ তার জেরেই অধিবেশন দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন ধনকড় ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লন্ডনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনায় সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ সেখানে তিনি ভারতে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ ভারতে গণতন্ত্র বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ৷ রাহুলের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি ৷
তাদের দাবি, বিদেশে বসে ভারত বিরোধী মন্তব্য করেছেন রাহুল ৷ দেশের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছেন ৷ তাই ক্ষমা চাইতে হবে রাহুলকে ৷ রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল এদিনও রাহুল গান্ধির ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন ৷ তিনি বলেন, তাঁর দাবি, কংগ্রেস দেশের ও সংসদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ৷ তাই ওই দলের নেতা ক্ষমা চাইছে, এটা দেশের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, প্রহ্লাদ যোশী, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ভি মুরুলিধরন ও রাজ্যসভার অন্য নেতারা চেয়ারম্যান ধনকড়ের চেম্বারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ৷ তবে সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: 'চোরেদের মোদি-পদবি', সুরাটের আদালতে দোষী রাহুল জামিন পেলেন
