ETV Bharat / bharat

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পাইলট শিবিরের, সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে রাজস্থান হাইকোর্ট

author img

By

Published : Jul 23, 2020, 7:53 PM IST

রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকট এবার আইনি লড়াইয়ের রূপ নিয়েছে । আর এতে কিছুটা এগিয়েই থাকছে পাইলট শিবির । আগামীকাল রাজস্থান হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানানোয় কোনও বাধা থাকছে না । জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট ।

Rajasthan Political Crisis
ছবি

দিল্লি, 23 জুলাই : কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে এখন কিছুটা স্বস্তিতে সচিন পাইলট । আগামীকাল রাজস্থান হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানানোয় কোনও বাধা থাকছে না । সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত ।

সচিন পাইলট ও 18 জন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার । সেই নোটিসের বিরোধিতা করে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট ও বাকি 18 জন পাইলট ঘনিষ্ঠ বিধায়ক । এনিয়ে নিজের মতামত জানান বিধানসভার স্পিকার । হাইকোর্ট বিধানসভার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না । এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ সি পি জোশী । আজ সেই আর্জি নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত । সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে রাজস্থান হাইকোর্ট ।

আগামীকাল হাইকোর্টের রায়দানে বাধা দেওয়া নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্ট বিধানসভার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করেন, "এটা মাত্র একদিনের ব্যাপার । আপনি কেন অপেক্ষা করতে পারছেন না ?" পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে কোর্টে আর্জি জানানোয় স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও আজ প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা ।

পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা অবশ্য বারবার বলে এসেছেন, তাঁরা দল ছাড়তে চান না । তাঁরা শুধুমাত্র দলীয় নেতৃত্বের বদল চান ।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের যুব নেতা হিসেবে সবথেকে প্রতিশ্রুতিবান যে মুখ দুটি বার বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল, তাঁরা হলেন সচিন পাইলট ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৷ একসময় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করতেন, এই দুই যুব নেতার মধ্যে কংগ্রেসের মুখ হিসেবে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কিন্তু, নানা সময়ে নানাভাবে দলের ভিতরেই দুইজনকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । ফলে, এর আগে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসে ভাঙন ধরে ৷ একঝাঁক বিধায়ক নিয়ে দল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন সিন্ধিয়া ৷ তার মাত্র তিনমাসের মধ্যে বড়সড় ভাঙনের মুখে এবার পড়তে চলেছে রাজস্থান কংগ্রেস ।

আরও পড়ুন : বৈঠকে না থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, হুইপ জারি কংগ্রেসের

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সিন্ধিয়া বা সচিন পাইলট দু'জনের ক্ষেত্রেই সমস্যার শুরুটা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বণ্টনের সময়েই ৷ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পর অনেকই মনে করেছিলেন সিন্ধিয়াই হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি ৷ বরং অনেকটাই লঘু পদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ রাজস্থানেও সেই একই সমস্যা ৷ বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর সচিনকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে মনে করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা ৷ কিন্তু, তা না করে অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ আর সচিন পাইলটকে করা হয় উপমুখ্যমন্ত্রী ৷

চলতি মাসে সচিন পাইলটের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে দাবি করা হয়, অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের এখন আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ৷ এরপরই 13 জুলাই তড়িঘড়ি বিধায়কদলের বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট । নামে বিধায়কদলের বৈঠক হলেও আদতে তা ছিল গেহলট অনুগামীদের বৈঠক ৷ নিজের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য এই বৈঠকের আহ্বান করেছিলেন গেহলট ৷ সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী 18 জন বিধায়ক । এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনে কংগ্রেস ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.