তিরুবনন্তপুরম, 11 জুলাই : কেরালার সোনাপাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ৷ বেঙ্গালুরু থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে NIA-র প্রতিনিধি দল ৷
সূত্রের খবর, ধৃত স্বপ্না ও সন্দীপ, দু'জনকেই বেঙ্গালুরুর এক আদালতে পেশ করে ট্রানজ়িট ওয়ারেন্ট চাওয়া হবে ৷ এরপর ওই দুই ধৃতকে কোচিতে NIA-র দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে ৷
প্রসঙ্গত, ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত রবিবার (5 জুলাই) তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 30 কেজি সোনা ৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়তে শুরু করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের দপ্তরের ৷ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, 9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -র হাতে ৷ NIA এরপর শুক্রবার (10 জুলাই) ঘটনায় FIR নথিভুক্ত করে ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করল NIA ৷
তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালা সরকারের কোনও যোগ নেই বলে বার বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷
NIA যে মামলা নথিভুক্ত করেছে, তাতে মূল অভিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ পি এস ৷ গত সোমবার অর্থাৎ 6 জুলাই সরিথকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমসের আধিকারিকরা ৷ অন্য দুই অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও তার বন্ধু সন্দীপ নায়ারকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় ৷ এছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে শারজার বাসিন্দা ফাজ়িল ফরিদের ৷ এই ফাজ়িল ফরিদই UAE দূতাবাসে ওই পার্সেলটি পাঠাচ্ছিল ৷
এদিকে সোনাপাচারের ঘটনা রাজনৈতিক মহলের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোন ৷ জানা গেছে, ধৃত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে এম শিবশংকর নামের এক IAS আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ৷ এই এম শিবশংকর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে IT সচিব ও মুখ্যসচিবের দায়িত্বে ছিলেন ৷ সোনা পাচারের ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসতেই দু'টি পদ থেকেই সরানো হয়েছে তাঁকে ৷
