ETV Bharat / bharat

2 গুণ বেতন চান না, খট্টরের প্রস্তাব ফেরালেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা

author img

By

Published : Apr 10, 2020, 2:40 PM IST

Updated : Apr 10, 2020, 4:25 PM IST

manohar
মনোহর

কোরোনা মোকাবিলায় আরও কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে তা নিয়ে সব দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর ঘোষণা, কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত থাকা সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দ্বিগুণ করা হবে ।

হরিয়ানা, 10 এপ্রিল : মানবিকতার এ এক অন্য নজির । গতকাল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ঘোষণা করেছিলেন, কোরোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন দ্বিগুণ করার । কিন্তু, 24 ঘণ্টার মধ্যেই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চিকিৎসকরা জানালেন, এখন পরিস্থিতি অতিরিক্ত বেতনের নয় । এখন কোনওভাবেই বেশি টাকা তাঁরা নিতে পারবেন না ।

হরিয়ানাতে এখনও পর্যন্ত কোরোনা আক্রান্ত 169 জন । এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের । এর আগে খট্টর ঘোষণা করেছিলেন, কোরোনা মোকাবিলায় এক বছরের জন্য প্রত্যেক মাসে বিধায়করা তাঁদের বেতনের 30 শতাংশ রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করবেন । এছাড়াও প্রাক্তন বিধায়করাও তাঁদের সাধ্য মতো ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করবেন । কোরোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক করেন খট্টর । কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । প্রত্যেকের তরফে সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস মিলেছে । কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্বন্ধে সব দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন খট্টর । ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চলে এই বৈঠক ।

অন্যদিকে কোরোনা মোকাবিলায় কাজ করা সমস্ত ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল স্টাফদের প্রশংসা করেছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা । কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকা এই সমস্ত 'যোদ্ধা'-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি । লকডাউনের কারণে কৃষকদের অবস্থাও সংকটে । ফসল বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা । তাঁদের এই অসহায় দিকটির প্রসঙ্গ তুলে সরকারের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি । আবেদনে কৃষকদের সব ফসল সরকারের তরফে কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।

অন্যদিকে লকডাউনের কারণে বন্ধ স্কুলগুলিও । এই সময় বেসরকারি স্কুলগুলিকে মাইনে না নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে । লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত মাইনে আদায়ে অভিভাবকদের উপর কোনওরকম চাপ দেওয়া যাবে না বলেও ঘোষিত হয়েছে । হরিয়ানার বিদ্যালয় ও শিক্ষা বিভাগের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, "প্রত্যেক জেলার বেসরকারি স্কুলগুলিকে সরকারি নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা আধিকারিক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । স্কুলগুলি যাতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ।"

Last Updated :Apr 10, 2020, 4:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.