কলকাতা, 2 নভেম্বর : গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডের জোড়া খুনকাণ্ডে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকে ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মুম্বই থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে ৷ অভিযোগ, কর্পোরেট সংস্থার কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে ভিকি হালদার ৷ এই অপরাধের মূল চক্রী ছিল ভিকির মা মিঠু হালদার , সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা ৷
আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার আরও 1
আজ তাদের আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । আগেই তাদের 3 নভেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে পেয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দারা । আগেই লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, আলিপুর পুলিশ আদালতে পুলিশ অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পরবর্তী তদন্তের জন্য ৷ সূত্রের খবর, ভিকিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারে পুলিশ ৷ সেখানে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে ৷
আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder Case : ‘মুম্বইয়ের দিকে ডেকে নেব’, সঞ্জয়কে বলা এই কথাই কাল হল ভিকির
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গড়িয়াহাট জোড়াখুন-কাণ্ডে ভিকি হালদার ও শুভঙ্কর মণ্ডল ঘটনাস্থলেই ছিল । মুম্বই থেকে তাকে গ্রেফতার করে আনা হয় । 3 নভেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে আছে ভিকি । তার একদিন আগেই আলিপুর পুলিশ আদালতে তাদের পেশ করা হয়েছে । খুনের ঘটনার পুননির্মাণ করতে হবে । তাছাড়া ঘটনায় এখনও ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি । তা খুঁজে পেতে হবে । তাছাড়াও একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও পায়নি তদন্তকারীরা । তাই ভিকি-শুভঙ্করকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় পুলিশের তরফে । দুই তরফের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক তাঁর নির্দেশ রিজার্ভ রাখেন । পরে তিনি রায় দিয়ে জানান, আপাতত 14 দিনের পুলিশি হেফাজতেই থাকবে দুই অভিযুক্ত ।
সম্প্রতি গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়িতে কর্পোরেট সংস্থার এক কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ দু’জনের গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল ৷ এই ঘটনায় গড়িয়াহাট থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নামে ৷ প্রথমে ভিকির মা মিঠু হালদারকে জেরা করে আরও দুই অভিযুক্ত জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
